প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোনালিসার পেইন্টিংয়ে হামলা হয়েছে। ছদ্মবেশী এক যুবক রোববার কেক ছুড়ে মারেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির এই অনন্য শিল্পকর্মে। তবে বুলেটপ্রুফ কাচের কারণে মোনালিসার কোনো ক্ষতি হয়নি। পরে সেই কাচ ভাঙার চেষ্টাও করেন ওই যুবক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, পরচুলা ও লিপস্টিক পরা এক যুবক হুইলচেয়ারে জাদুঘরে এসে ওই হামলা চালিয়েছেন। তাকে গ্যালারিতে গোলাপ ছুড়তেও দেখা গেছে।

ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ল্যুভর মিউজিয়ামের কর্মকর্তারা এ ঘটনায় মন্তব্য করতে রাজি হননি।

টুইটারে ঘটনার পরের একটি ভিডিও পোস্ট করে একজন লিখেছেন, ‘হতে পারে এটা কেবল দুষ্টুমি।’ ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জাদুঘরের এক কর্মী গ্লাস থেকে কেক পরিষ্কার করছেন।

টুইটারে পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একই কর্মী গ্লাসটি পরিষ্কার করছেন যখন, অন্য একজন পরিচারক দ্য ভিঞ্চির মাস্টারপিসের সামনে থেকে একটি হুইলচেয়ার সরিয়ে নিচ্ছেন।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নিরাপত্তা কর্মীরা ওই যুবককে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন তাকে (যুবককে) ফরাসি ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘পৃথিবীর কথা ভাবুন, মানুষ পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। চিন্তা করুন, পৃথিবীর কথা ভাবুন। এ কারণেই এই কাজটি করেছি।’

Maybe this is just nuts to me💀but an man dressed as an old lady jumps out of a wheel chair and attempted to smash the bullet proof glass of the Mona Lisa. Then proceeds to smear cake on the glass, and throws roses everywhere all before being tackled by security. 😂??? pic.twitter.com/OFXdx9eWcM

ষোড়শ শতাব্দীর রেনেসাঁ মাস্টারপিসে এর আগেও হামলা হয়েছে। জাদুঘরের এক কর্মী মোনালিসার পেইন্টিংটি চুরি করেছিলেন ১৯১১ সালে। এ ঘটনার পর, পেইন্টিংটির খ্যাতি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

এক ব্যক্তি ১৯৫৬ সালে পেইন্টিংটির দিকে পাথর ছুড়লে, ডান কনুই ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোনালিসার। সেই থেকে মোনালিসাকে বুলেটপ্রুফ গ্লাসের মধ্যে রাখা হয়। ২০০৫ সালে আরও উন্নত বাক্সে রাখা হয় মোনালিসাকে; যা তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে।

এরপরও হামলা থেকে বাঁচানো যায়নি রহস্যময় হাসির মানবীকে। নাগরিকত্ব না পেয়ে ২০০৯ সালে এক রাশিয়ান নারী মোনালিসার দিকে একটি খালি কাপ ছুড়ে মারেন। এতে কাচে কিছুটা আঁচড় লেগেছিল।