যুক্তরাজ্যের বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় আগুন লেগে ডুবে গেছে ৬০ লাখ ডলারের বিলাসবহুল একটি ইয়ট।
কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও কমপক্ষে ৮ হাজার লিটার জ্বালানি নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌযানটি বন্দরসহ পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের ডেভন অঞ্চলের বন্দর টরকোয়তে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১২টায় নোঙর অবস্থায় কয়েকটি বিস্ফোরণ হয় বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীটিতে। এরপর ভয়াবহভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৮৫ ফুট দীর্ঘ নৌযানটিতে।
ডেভন অ্যান্ড সামারসেট ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের কর্মীরা জানান, ইয়টটিতে কোনো যাত্রী ছিল না। ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র বলেন, ‘ইয়টটি দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়ায় এর আগুন আর নেই।’
দেশটির দ্য এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি সাউথ ওয়েস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশাল পরিমাণ জ্বালানি নিয়ে ডুবে যাওয়ায় এখন সবার শঙ্কা পরিবেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে।
‘ডুবে যাওয়া যানটির জ্বালানি ৯ হাজার টন ডিজেল কী পরিমাণ পরিবেশ দূষণে হুমকি হতে পারে তা নিরূপণ করার পাশাপাশি কমিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে,’ যোগ করে এনভায়রনমেন্ট কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে আগুনের কালো ধোঁয়ার কারণে বন্দরের বাতাসে কী পরিমাণ দূষণ হয়েছে তাও নিরূপণে কাজ শুরু হয়েছে।
ইয়ট কেনার প্ল্যাটফর্ম গ্যালাক্টি ইয়টের তথ্য মতে, একটি ইয়টের দাম নির্ভর করে এর আকার, নির্মাণের বছর, মডেল ও নৌযানটি কী অবস্থায় আছে, তার ওপর। যেমন ২০০৩ সালে পাইলট হাউসে তৈরি ওয়েস্ট পোর্ট ১১২-এর দাম ৫৯ লাখ ডলারের একটু বেশি। অন্যান্য বড় ইয়টের মধ্যে আছে ২০০৬ মডেলের ১০৫ হারগ্র্যাভের দাম ৩৭ লাখ ডলার। অপেক্ষাকৃত নতুন হারগ্র্যাভের ২০২০ মডেলের দাম আবার ১ কোটি ২০ লাখ ডলার।
আর ৫০ থেকে ৭০ ফুট ইয়টের দাম হয় ৩ লাখ ডলার থেকে ৪০ লাখ ডলার। ২০০৬ ক্রুজার ৫২ এক্সপ্রেসের দাম ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গ্যালাক্টি ইয়টে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যত ইয়ট বিক্রি হয়েছে তার গড় দাম ৩ লাখ ৬৫ হাজার ডলার।
সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে একের পর এক রুশ অলিগার্কের মালিকানাধীন ইয়ট জব্দ হতে থাকলে এই বিলাসবহুল নৌযানের বিষয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়ে।