বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়টের মালিক হতে চাইলে

  •    
  • ২৬ মে, ২০২২ ১৬:১৮

একটি ইয়টের দাম নির্ভর করে এর আকার, নির্মাণের বছর, মডেল ও ভ্যাসেলটি কী অবস্থায় আছে, তার ওপর। যেমন ২০০৩ সালে পাইলট হাউসে তৈরি ওয়েস্ট পোর্ট ১১২-এর দাম ৫৯ লাখ ডলারের একটু বেশি। অন্যান্য বড় ইয়টের মধ্যে আছে ২০০৬ মডেলের ১০৫ হারগ্র্যাভের দাম ৩৭ লাখ ডলার। অপেক্ষাকৃত নতুন হারগ্র্যাভের ২০২০ মডেলের দাম আবার ১ কোটি ২০ লাখ ডলার।

সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে আছড়ে পড়া ঢেউ দেখে অনেকেরই তৃপ্তি হয় না। তারা ভেসে বেড়াতে চান সমুদ্রের নীল জলরাশিতে। দেখতে চান মাঝ সমুদ্র থেকে হাতে পানীয়র গ্লাসে সূর্যাস্তকে। এমন স্বপ্ন পূরণ করতে পারে ইয়ট। কিন্তু সবাই তো আর ইয়টের মালিক হতে পারেন না। বিত্তশালী ব্যক্তিদের পক্ষেই কেবল সম্ভব।

সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে একের পর এক রুশ অলিগার্কের মালিকানাধীন ইয়ট জব্দ হতে থাকলে এই বিলাসবহুল ইয়টের বিষয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের সৃষ্টি হয়। তবে ঠিক কত টাকা ব্যয় করতে পারলে একটি ইয়টের মালিক হওয়া সম্ভব?

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইয়ট আজাম, যার মূল্য ৬০ কোটি ডলার

একটি ইয়টের দাম কেমন হয়? ইয়ট কেনার প্ল্যাটফর্ম গ্যালাক্টি ইয়টের তথ্যমতে, একটি ইয়টের দাম নির্ভর করে এর আকার, নির্মাণের বছর, মডেল ও ভ্যাসেলটি কী অবস্থায় আছে, তার ওপর। যেমন ২০০৩ সালে পাইলট হাউসে তৈরি ওয়েস্ট পোর্ট ১১২-এর দাম ৫৯ লাখ ডলারের একটু বেশি। অন্যান্য বড় ইয়টের মধ্যে আছে ২০০৬ মডেলের ১০৫ হারগ্র্যাভের দাম ৩৭ লাখ ডলার। অপেক্ষাকৃত নতুন হারগ্র্যাভের ২০২০ মডেলের দাম আবার ১ কোটি ২০ লাখ ডলার।

আর ৫০ থেকে ৭০ ফুট ইয়টের দাম হয় ৩ লাখ ডলার থেকে ৪০ লাখ ডলার। ২০০৬ ক্রুজার ৫২ এক্সপ্রেসের দাম ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গ্যালাক্টি ইয়টে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যত ইয়ট বিক্রি হয়েছে তার গড় দাম ৩ লাখ ৬৫ হাজার ডলার।

৩ লাখ ডলারের মধ্যে ইয়ট কিনতে চাইলে রয়েছে ক্রুজার ৫২

আর যদি মেগা ইয়ট চান, যেগুলো সাধারণত ১৬৫ ফুটের বেশি লম্বা হয়। এগুলোর দামের এক অর্থে কোনো সীমা নেই। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইয়ট ‘আজামের’ দাম ৬০ কোটি ডলার। তবে বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে দামি ইয়ট ‘হিস্টোরি সুপ্রিম’ যার দাম ৪৮০ কোটি ডলার। এই ইয়ট পুরোটাই স্বর্ণে মোড়ানো। চেলসির রুশ মালিক রোমান আব্রাহোমোভিচের সুপার ইয়ট ‘একিলিপ্স’ ব্যক্তিমালিকানাধীন দ্বিতীয় বৃহত্তম ইয়ট। এই ইয়ট পেতে আব্রাহোমোভিচকে খরচ করতে হয়েছে ৩০ কোটি ডলার।

তবে ৮০ ফিট বা তার থেকে বড় ইয়টের গড় দাম ৫৩ লাখ ডলার। ৫৬ থেকে ৫৯ ফিট লম্বা ইয়টের ক্ষেত্রে দাম ১১ লাখ ডলার। ৪৬ থেকে ৫৫ ফিট ইয়ট গড় দাম ৪ লাখ ২৪ হাজার ডলার। ৩৬-৪৫ ফিটের বোটের গড় দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ডলার। ২৬-৩৫ ফিট বোটের গড় দাম ১ লাখ ১০ হাজার ডলার। ২৬ ফুট নিচের বোটের গড় দাম ৪৭ হাজার ডলার। বোট গ্রুপের মার্কেট ইনডেক্সের তথ্যমতে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে লাক্সারি ইয়টের গড় মূল্য ৫৩ লাখ ডলার।

রোমান আব্রাহোমোভিচের ইয়ট একিলিপ্স

৪০ ফুট ইয়টের মধ্যে রয়েছে ২০১৯ মডেলের অ্যাবসলুট এসটিএল ৪০। যার দাম পড়বে ৬ লাখ ২৯ হাজার ডলার। ২০১৪ সালের এমজেএম ৪০ জেডের দাম পড়বে ১২ লাখ ডলার। ৫০ ফুট ইয়টের মধ্যে রয়েছে ভাইকিং কনভার্টেবল, যার দাম ৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রয়েছে ২০০৯ মডেলের ভাইকিং ৫০সি, দাম ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ৭০ ফিট ইয়টের মধ্যে রয়েছে ২০০৭ মডেলের ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার দামের সিম্বল ৭০ এমওয়াই। ২০১২ ভাইকিংস স্পর্টফিশ ইয়টের দাম ৩৯ লাখ ডলার।

সোনায় মোড়ানো বিশ্বের সবচেয়ে দামী ইয়ট হিস্টোরি সুপ্রিম

এখানে উল্লেখ করা সব কয়টি ইয়টের দামই গ্যালাক্টি ইয়ট থেকে নেয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশে ইয়টের দামের তারতম্য হতে পারে। তবে ইয়ট শুধু ব্যাক্তিগত মালিকানাধীনই হয় না, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছোট থেকে বড় সব ধরনের ইয়টই ভাড়া নেয়া যায়। যাদের ইয়ট কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের ভাড়া নিয়ে ইয়টে চড়ে নদী-সমুদ্র ভ্রমণের সুযোগ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর