ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযানে অনেক রুশ সেনাও হতাহত হচ্ছে। এবার মস্কোতে অবস্থিত রাশিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক হাসপাতালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে আহত চিকিৎসাধীন যোদ্ধাদের দেখতে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্জেই সোইগু।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় পুতিন বলেছেন, যেসব সেনা দেশের বাইরে লড়ছেন এবং যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সুবিধা- অসুবিধার বিষয়গুলো প্রেসিডেন্ট পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দেখভাল করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে পুতিনকে সাদা মেডিক্যাল কোট গায়ে দেখা যায়। একটি ভিডিওতে পেটে আঘাতপ্রাপ্ত একজন সেনাকে বলতে দেখা যায়, তিনি তার ইউনিটে ফিরতে চান। জবাবে পুতিন বলেন, এমনটি তিনি করতে সক্ষম হবেন।
আরেকজন আহত সৈনিককে তার ছেলের কথা উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনার ছেলে তার বাবাকে নিয়ে গর্বিত হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করতে না পারলেও গুরুত্বপূর্ণ মারিওপোল শহর দখল করেছে রুশ সেনারা। পাশাপাশি লুহানস্ক ও দোনেৎস্কে গড়ে তুলেছে শক্ত অবস্থান।
তবে কিয়েভের দাবি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে রুশ সেনারা। হতাহতের কথা স্বীকার করলেও রুশ সেনাদের দাবি ক্ষয়ক্ষতি এত ব্যাপক নয়। পরিকল্পনামাফিকই চলছে সামরিক অভিযান।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে রাষ্ট্র হিসেবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং কখনো পশ্চিমা সামরিক জোটের সদস্য হতে পারবে না। কিয়েভ বলছে যে কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয়ার অধিকার তার রয়েছে।
দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে রুশ ভাষাভাষীদের নির্যাতন করার অভিযোগও ছিল রাশিয়ার। তাদের রক্ষার জন্যই সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।