আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মিলিয়ে শনিবার দুপুরের পর থেকে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় শুরু হয় কালবৈশাখী। সে সঙ্গে ছিল বজ্রবিদ্যুৎসহ তুমুল বৃষ্টি। কালবৈশাখীতে রাজ্যে দুজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
কলকাতার জায়গায় জায়গায় জমা হয়েছে পানি। ভেঙে পড়েছে বহু গাছ। ঝড়ো হাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। শহর জুড়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট।
পৌরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছে।
কলকাতার আলিপুর ন্যাশনাল লাইব্রেরির কাছে একটি গাছ ভেঙে পড়ে এক ব্যক্তির আহত হন। কলেজ স্ট্রিট এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে গাছ পড়ে। বর্ধমান জেলাতেও গাছ ভেঙে পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
তুমুল ঝড়-বৃষ্টির কারণে কলকাতার মেট্রো রেল বন্ধ করে দেয়া হয়। দেশপ্রিয় পার্ক, সাদার্ন এভিনিউ, লেক মার্কেট এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
তুমুল বৃষ্টিতে সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের একাংশ ভেঙে পড়েছে।
দুর্যোগের কারণে ১৩ মিনিট খেলার পর মোহনবাগান ও বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ স্থগিত করে দেয়া হয়। কলকাতার যান চলাচল এক সময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়। ফলে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আসানির রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ গরমে পুড়ছিল।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানায়, আগামী পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার ও রোববার কলকাতাসহ হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু বৃষ্টি শেষ হলে আবারও ভ্যাপসা গরম বাড়বে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
আশার কথা এই যে, আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী সাধারণত ১ জুন ভারতের কেরালায় মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে এবার একটু আগে ২৭ মে কেরালায় ঢুকবে বর্ষা। ফলে বাংলাতেও কিছুটা আগেই বর্ষা ঢুকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।