যে ন্যাটো নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব, সেই ন্যাটোতেই যোগ দিতে যাচ্ছে ফিনল্যান্ড। এর প্রেক্ষাপটে ফিনল্যান্ডে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে আবারও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল রাশিয়া।
স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয় বলে রুশ কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে ফিনল্যান্ড বলছে, এতে তাদের ভোক্তাদের ওপর কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।
রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধের দাবির সঙ্গে একমত হতে পারেনি ফিনল্যান্ড। একই সঙ্গে ন্যাটোয় যোগ দেয়ার চেষ্টাও তারা থামাবে না বলে জানিয়েছে।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরও ইউরোপের অনেক দেশেই গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। তারা বলছে, বন্ধু নয় এমন দেশগুলোকে অবশ্যই রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে পশ্চিমাসহ বিভিন্ন দেশ। পদক্ষেপ নেয় রাশিয়াও।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটির ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।