বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে শ্বেতাঙ্গদের প্রাধান্য

  •    
  • ২০ মে, ২০২২ ১৫:৪৮

১৯০১ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দেশটিতে অশ্বেতাঙ্গদের অভিবাসন নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সেখান থেকে দেশটি বেরিয়ে আসলেও রাজনীতির ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য রয়েই গেছে। প্রধান দলগুলো যাদের নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক বাছাই করে, তাদের প্রায় সবই পদমর্যাদার সাপেক্ষেই। এমন পরিস্থিতিতে অশ্বেতাঙ্গদের মনোনয়ন পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।  

বিশ্বে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের দেশ হিসেবে পরিচিতি আছে অস্ট্রেলিয়ার, কিন্তু যখন রাজনীতির বিষয় আসে চিত্রটি ভিন্ন হয়ে যায়, যেখানে ৯৬ শতাংশ কেন্দ্রীয় আইনপ্রণেতা শ্বেতাঙ্গ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য কাটিয়ে ওঠার সুযোগ এ বছরের নির্বাচনে ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই তা বেছে নেয়নি। যেমন ভিয়েতনামি বংশোদ্ভুত তু লে তার আসনে নির্বাচনের জন্য প্রাক মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে পার্টির কর্তারা একজন শ্বেতাঙ্গ নারী ক্রিস্টিনা কেনেলিকে তার বদলে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়।

অথচ কেনেলিকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ফেরি, ট্রেন, বাস ও অন্য একটি বাসে সিডনির উত্তর সৈকতে তার বাড়ি থেকে ফাউলারে যেতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। অথচ তু লে ছিলেন এখানকারই বাসিন্দা। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা এই এলাকার সঙ্গে কেনেলির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

প্রতি পাঁচজন অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ানের শেকড় ইউরোপে নয়। আবার নাগরিকদের ৪৯ শতাংশ হয় অন্য দেশে জন্মেছেন, নয়তো তাদের অভিভাবকরা অন্য দেশে জন্মেছেন।

১৯০১ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দেশটিতে অশ্বেতাঙ্গদের অভিবাসন নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সেখান থেকে দেশটি বেরিয়ে আসলেও রাজনীতির ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য রয়েই গেছে।

ড. সাউথ পোমাসসেন বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা যে বহু সাংস্কৃতিক চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করি, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে তার কাছাকাছিও নেই।’

অন্য পশ্চিমা বহু সাংস্কৃতিক দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই একই বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

দুই দশক আগেও অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের মধ্যেই ছিল। তবে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দল সচেতনভাবে পদক্ষেপ নিয়ে এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা অন্যান্য দেশের গণতন্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি বদ্ধ। প্রধান দলগুলো যাদের নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক বাছাই করে, তাদের প্রায় সবই পদমর্যাদার সাপেক্ষেই। প্রায়শই তারা বর্তমান এমপিদের কর্মী হিসেবেই কাজ করেন। এমন পরিস্থিতিতে অশ্বেতাঙ্গদের মনোনয়ন পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর