রাজিব গান্ধী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের একজন এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি ৩১ বছর যাবৎ কারাগারে ছিলেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে রাজিব গান্ধী হত্যার অপর আসামি নলিনী শ্রীহরণ ও তার স্বামী মুরুগান, একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিকসহ বাকি ছয় অভিযুক্তের মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে।
রাজিব গান্ধী হত্যার সময় ১৯ বছর বয়সী পেরারিভালানের বিরুদ্ধে ৯ ভোল্টের দুটি ব্যাটারি সিভারাসনের জন্য কেনার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সিভারাসন ছিলেন রাজিব গান্ধী হত্যার পরিকল্পনাকারী ও শ্রীলঙ্কার তামিল বিদ্রোহী সংগঠন লিবারেশন টাইগার অফ তামিল ইলমের সদস্য।
পেরারিভালানের কেনা ব্যাটারি দুটি রাজিব গান্ধী হত্যার জন্য বোমায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
১৯৯১ সালের ২১ মে এক নির্বাচনী সভায় যোগ দিতে গেলে রাজিব গান্ধীকে লক্ষ্য করে ধানু নামের এক নারী আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। সে হামলায় রাজিব গান্ধীর মৃত্যু হয়।
রাজিব গান্ধী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এ জি পেরারিভালান
১৯৯৮ সালে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত পেরারিভালানকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং পরের বছর সুপ্রিম কোর্ট সেই সাজা বহাল রাখে। কিন্তু ২০১৪ সালে তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করা হয়। চলতি বছরের মার্চেই শীর্ষ আদালত থেকে তাকে জামিন দেয়া হয়।
তবে পেরারিভালানের দীর্ঘ কারা জীবনে তার খুব ভালো আচরণের রেকর্ড রয়েছে। কারাগারে তিনি পড়াশোনা করেছেন এবং বেশ কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতাও অর্জন করেছেন। তিনি একটি বইও লিখেছেন।
পেরারিভালান দাবি করেছিলেন যে তিনি ব্যাটারিগুলোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতেন না। ভারতের অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই অফিসার থিয়াগরাজন পরে বলেছেন, তিনি পেরারিভালানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পরিবর্তন করেছিলেন, এই জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন।