মারিওপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতিরোধের সর্বশেষ অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় নিশ্চিত করেছে যে, মারিওপোলের অ্যাজোভস্টাল স্টিল কারখানায় আটকে থাকা সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনারেল স্টাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্যারিসন মারিওপোলে নির্ধারিত যুদ্ধ মিশন সম্পন্ন করেছে। সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ড যোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে অ্যাজোভস্টালে থাকা ইউক্রেনীয় কমান্ডারদের জন্য এ আদেশ (আত্মসমর্পণ) জারি করেছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী আনা মালিয়ার এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে বন্দি হওয়া রুশ সেনাদের সঙ্গে বিনিময় করা হবে। তবে বিনিময়ের শর্ত এখনও ঠিক হয়নি।
ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিওপোল রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে এলে শুধু অ্যাজোভস্টাল স্টিল কারখানাতেই এত দিন ইউক্রেনীয় সেনারা নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
রুশ সেনারা সেখানে সর্বাত্মক অভিযান না চালালেও স্থানটি ঘিরে রাখে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সেনাদের আদেশ দেন, একটা মাছিও সেখান থেকে যেন বেরিয়ে যেতে না পারে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছিলেন, প্রায় ২ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় যোদ্ধা এখনও কারখানাটিতে রয়েছেন এবং সেখানে বিশাল ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার রয়েছে। এসব ইউক্রেনীয় যোদ্ধার মধ্যে মেরিন ও দেশটির জাতীয়তাবাদী আজভ ব্যাটালিয়নের সদস্য রয়েছেন। যদিও এর মধ্য থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কিছু বেসামরিক মানুষকে বের করে আনা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।