তীব্র গরমে অতিষ্ঠ ভারতের দিল্লিবাসীর জনজীবন। রোববার রাজধানী দিল্লির মুঙ্গেশপুরে ৪৯.২ ডিগ্রি ও নাজাফগড়ে ৪৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময় সফদরজং পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। গুরুগাঁওয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নয়ডায় তা ছিল ৪৭.১ ডিগ্রি, যদিও আশা করা হচ্ছে, সেখানে সোমবার তাপমাত্রা ২৮.৮১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
এই বছরই মুঙ্গেশপুর ও নাজাফগড়ের দুটি স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন চালু করা হয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এই বছর গ্রীষ্মজুড়ে বৃষ্টির অভাবের কারণে দেশটিতে অত্যধিক গরম দেখা যাচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রাকে সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে, তা দিল্লিতে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ তাদের গভীরতা ও তীব্রতা কম ছিল। এর মানে হলো দিল্লির তাপমাত্রা কমানোর মতো বৃষ্টি হয়নি।
এদিকে গত শনিবার দিল্লির অনেক এলাকায় তীব্র গরমের কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল এবং রোববারের জন্য জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
আবহাওয়া অনুযায়ী আইএমডি চার ধরনের সতর্কতা জারি করে। এতে সবুজের কোনো সতর্কতা নেই, হলুদে সতর্কতা, কমলাতে জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকা এবং রেড অ্যালার্টে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
চলতি গ্রীষ্মের মৌসুমে দিল্লিতে তাপপ্রবাহের এটা পঞ্চম রাউন্ড। গত মার্চে একের পর এপ্রিলে তিন রাউন্ড তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হতে হয়েছিল দিল্লিকে।
গত দুই মাসে দিল্লিতে অল্প বৃষ্টির কারণে এপ্রিলে গ্রীষ্মের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। ১৯৫১ সালের এপ্রিলের পর থেকে দিল্লি দ্বিতীয়বার সবচেয়ে খারাপ তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে। এপ্রিলে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি।