বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বব্যাংক-এডিবির কাছে সহায়তা চাইল শ্রীলঙ্কা

  •    
  • ১৫ মে, ২০২২ ২০:৫৫

এক বিবৃতিতে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা দুটির সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম গঠনের বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।

অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নিয়েই রনিল বিক্রমাসিংহে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে সহায়তা চেয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা দুটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে রোববার আলোচনা করেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী।

ওষুধ, খাদ্য এবং সার সরবরাহের সহায়তা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কাভিত্তিক ডেইলি মিরর

এক বিবৃতিতে রনিল বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা দুটির সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম গঠনের বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।

আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সরকার সামনের কিছুদিন জ্বালানির খাত নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। কারণ ব্যাংকগুলোয় ডলারের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে সরকার এখন প্রয়োজনীয় জ্বালানি খাতে তহবিল সুরক্ষিত করতে অন্যান্য বিকল্প খুঁজছে।’

প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে আরও জানান, তিনি সোমবার মন্ত্রিসভায় দেশের আর্থিক সংকটের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে নতুন এ প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ান। পরে আশীর্বাদ পেতে ৭৩ বছর বয়সী রনিল ওয়ালুকারমা মন্দিরে যান।

আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন বিক্রমাসিংহে। এর পরই জানা যায় তিনিই হচ্ছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী। ২২৫ আসনবিশিষ্ট দেশটির পার্লামেন্টে তার দলের আসন মাত্র একটি।

কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।

গত মাসে প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না বলে জানায় শ্রীলঙ্কা।

এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। একপর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

সরকারবিরোধী আন্দোলন গত সোমবার আরও বড় রূপ ধারণ করে। সেদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। এতে বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে সরকারদলীয় এমপি, পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন ৯ জন। আহত হন দুই শতাধিক। আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।

এ বিভাগের আরো খবর