সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির দীর্ঘ দিনের শাসক শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তিনি আরব বিশ্বে শক্তিশালী শাসক এবং 'এমবিজেড' নামে সমধিক পরিচিত।
দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুর পরের দিন শনিবারই মোহামেদ বিন আল জায়েদকে এই দায়িত্ব দেয়া হলো।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা ডাব্লিউএএম-এর বরাতে আলজাজিরার খবরে বলা হয়, শেখ মোহম্মদকে ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিল থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ মোহম্মদ এতোদিন পর্দার আড়ালেই ছিলেন। তার স্বাস্থ্যের ভঙ্গুর অবস্থার জন্য তাকে পাশ কাটিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তার সৎ ভাই সদ্য প্রয়াত খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
আমিরাতের সাত শাসক এলাকার শেখদের একটি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শেখ খলিফা শুক্রবার ৭৩ বছর বয়সে মারা যাওয়ার পরের দিনেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তার ওপর ‘আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখায় কাউন্সিলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন মোহামেদ বিন জায়েদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখদের ভোটাভুটির মাধ্যমেই মোহম্মদ বিন জায়েদকে নির্বাচিত করা হয়েছে। যারা ভোট দিয়েছেন তাদের মধ্যে দুবাইয়ের শাসকও ছিলেন।
ভোটের পর দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম টুইটারে লেখেন, ‘আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। আমরা তার প্রতি আনুগত্যেরও অঙ্গীকার করছি এবং আমাদের জনগণ তার প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছে।’
‘ঈশ্বরের কৃপায়, তার নেতৃত্বে পুরো দেশকে গৌরব ও সম্মানের পথে নিয়ে যাবেন তিনি।’
শুক্রবার দেশটির রাজধানী আবুধাবির আল বাতিন কবরস্থানে প্রেসিডেন্ট খলিফা আল নাহিয়ানকে দাফন করা হয়।
আবুধাবির শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আবুধাবির মসজিদে প্রথম জানাজায় অংশ নেন। এ সময় প্রয়াত প্রেসিডেন্টের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এ ছাড়া মাগরিবের নামাজের পর দেশজুড়ে মসজিদে মসজিদে প্রেসিডেন্টের জন্য দোয়া করা হয়।
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে দেশজুড়ে ৪০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে আরব আমিরাত। একই সঙ্গে জাতীয় পতাকা রাখা হবে অর্ধনমিত। মন্ত্রণালয়সহ সব ধরনের অফিস বন্ধ থাকবে তিন দিন।
১৯৪৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জায়েদ আল নাহিয়ান। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আবুধাবির শাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।