খাদ্যসহ নানা সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কায় খাবারের অভাব দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
পাঁচবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) এই নেতা দায়িত্ব নেয়ার পরদিন শুক্রবার প্রথমবারের মতো বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘কোথাও আর খাদ্য সংকট থাকবে না। আমরা প্রত্যেকের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করব।’
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভঙ্গুর অবস্থায় আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সবাই ধৈর্য ধরুন। আমি পরিস্থিতি আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেব।’
শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের অনুভূতির সঙ্গে আমি একমত। তবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের যে দাবি উঠেছে, তা কার্যকর হবে না। অভিযোগে সমস্যা সমাধান হবে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে নতুন এ প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ান। পরে আশীর্বাদ পেতে ৭৩ বছর বয়সী রনিল ওয়ালুকারমা মন্দিরে যান।
আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন বিক্রমাসিংহে। এর পরই জানা যায় তিনিই হচ্ছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী। ২২৫ আসনবিশিষ্ট দেশটির পার্লামেন্টে তার দলের আসন মাত্র একটি।
কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। একপর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলন গত সোমবার আরও বড় রূপ ধারণ করে। সেদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। এতে বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে সরকারদলীয় এমপি, পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন ৯ জন। আহত হন দুই শতাধিক। আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।