মেট্রোরেলের কাজে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি বাড়ি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি বাড়ি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তর ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিটি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এখানে বাড়িগুলো পুরোনো ইটের তৈরি, পাইলিং নেই। মাটি সরে গেলে বাড়িগুলো বসে যায়। এসব বাড়ি রাখা সম্ভব কি না, তা ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
বুধবার বৌবাজারের বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার ফের কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্কে বিপজ্জনক বাড়িগুলো থেকে বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন। রাস্তাতেও ফাটল দেখা যায়।
ইস্ট-ওয়েস্ট কলকাতা মেট্রোরেলের কাজ চলার সময় এ ঘটনা ঘটে।
বিপজ্জনক বাড়িগুলো থেকে পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ৫৫টি কারখানা বন্ধ রেখেছেন।
২০১৯ সালে কলকাতা বৌবাজারের এই দুর্গা পিতুরি লেনে মেট্রোরেলের সুড়ঙ্গে কাজ চলার সময় বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে সে সময় ঘর ছাড়তে হয়েছিল বহু বাসিন্দাকে।
এবার ফের দুর্গাপুরের বহু বাড়িতে ফাটল ধরায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮২ বাসিন্দা ঘর ছেড়েছেন। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, ‘২০১৯ সালে ছিল প্রথম অভিজ্ঞতা, ২০২২ সালে সেটা পুনরায় হচ্ছে।’
এ ঘটনায় বহু পরিবার গৃহহীন হয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।