বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিআইডির কবজায় মাহিন্দার প্রধান নিরাপত্তাকর্মী

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ১৫:৪৬

পদ হারানোর পর গণবিক্ষোভে মাহিন্দা সরকারি বাসভবনও ছাড়তে বাধ্য হন মঙ্গলবার, এর পরদিনই বুধবারে সকালে তার নিরাপত্তাকর্মীকে ডেকেছিল সিআইডি।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়া মাহিন্দা রাজাপাকসের প্রধান নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পদ হারানোর পর গণবিক্ষোভে মাহিন্দা সরকারি বাসভবনও ছাড়তে বাধ্য হন মঙ্গলবার, এর পরদিনই বুধবারে সকালে তার নিরাপত্তাকর্মীকে ডেকেছিল সিআইডি।

কলম্বো গেজেট বলছে, গ্যালে ফেস এলাকা ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন টেম্পল ট্রিজের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের সময় জনগণের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে। তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলও পুলিশপ্রধানকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছেন।

এর মাধ্যমে দেশজুড়ে চলা সহিষ্ণুতায় প্রথমবারের মতো কোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো।

বেশ কিছুদিন ধরেই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে উত্তাল শ্রীলঙ্কা; চলছে সরকার পতনের আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসের অনুরোধে সোমবার পদ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।

এরপর সপরিবারে সেনা সহায়তায় হেলিকপ্টারে বাসভবন ছাড়েন মাহিন্দা। তারা যেন দেশ না ছাড়তে পারেন সে জন্য বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদ ছাড়ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। পার্লামেন্টে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কায় টানা কয়েক দিন ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলন সোমবার আরও বড় রূপ ধারণ করে। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়। দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। প্রথমে কলম্বো এবং পরে পুরো দেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ। তবে নির্দেশনা অমান্য করেই মাঠে আছে আন্দোলনকারীরা।

রাজধানী কলম্বোর কাছে নিত্তামবুয়া এলাকায় সোমবার নিহত হন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল শ্রীলঙ্কা পদুজেনা পেরামুনার (এসএলপিপি) এমপি অমরাকীর্থি আথুকোরালা। এ ছাড়া এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন আরও অন্তত সাতজন।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের কুরুনেগালা শহরে মাহিন্দা রাজাপাকসের পৈতৃক বাড়ি ‘মেদামুলানা ওয়ালাওয়াতে’ আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। অন্য বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীর গাড়িতেও আগুন দেয়া হয়েছে।

তবে সব মিলিয়ে আরও কঠোর অবস্থানে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে তাদের ক্ষমতা। বেড়েছে সেনা টহল।

বৈদেশিক রিজার্ভের সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতিতে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় ধুঁকছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এর জন্য রাজাপাকসে সরকারের দুর্নীতিকে দুষছে জনগণ।

এ বিভাগের আরো খবর