ইকুয়েডরের রাজধানী কিটো থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত স্যান্টো ডমিঙ্গো কারাগার। এই কারাগারেই লস-লবোস ও আর-সেভেন নামে দুই গ্যাংয়ের সদস্যদের মাঝে মারাত্মক দাঙ্গা সৃষ্টি হলে অন্তত ৪৪ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। আর আহত হয়েছেন অসংখ্য, যার প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইকুয়েডরে সক্রিয় বিভিন্ন গ্যাংয়ের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ বাঁধে। তবে স্যান্টো ডমিঙ্গো কারাগারের নৃশংসতা সাম্প্রতিক সবগুলো ঘটনাকেই ছাপিয়ে গেছে।
বিভিন্ন গ্যাং তথা অপরাধীদের দৌরাত্ম্য দেশটিতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করে রেখেছে সরকার।
সর্বশেষ দাঙ্গার ঘটনায় প্রায় ২২০ জন বন্দি পালিয়ে যায়। পরে তাদের মধ্য থেকে ১১২ জনকে আবারও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় কারা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় পুলিশ। বাকি ১০৮ বন্দির কোনো হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ প্রধান।
ইকুয়েডরের পত্রিকা এল ইউনিভার্সো জানিয়েছে, অ্যানচান্ডিয়া নামে এক বন্দিকে কারাগারটিতে স্থানান্তর করা হলে ওই বিবাদের সূত্রপাত হয়। গত এপ্রিলেও দেশটির একটি কারাগারে দাঙ্গার নেপথ্যে ছিলেন ওই গ্যাং নেতা।
কারাগারের সামনে বন্দিদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত স্বজনরা
বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ভিডিওচিত্রে ওই কারাগারের সামনে বেশকিছু অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আহত ও রক্তাক্ত অনেক বন্দিকে এসব অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়া হচ্ছে।
কারাগারটির সামনে বর্তমানে বন্দিদের অসংখ্য স্বজন অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গিলার্মো লাসো।