আফগানিস্তানে নারীর জন্য তালেবানের নির্ধারিত পোশাক না পরাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ-সংক্রান্ত একটি ডিক্রি রোববার জারি করেছে তালেবান সরকার।
এর আগেও আফগান নারীর প্রতি নানা বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছিল। তবে ফৌজদারি শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এবারই প্রথম।
কাবুলে এক আয়োজনে শনিবার আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা ও তালেবানপ্রধান হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা নারীদের আপাদমস্তক বোরকা পরার ডিক্রি জারি করেন। তিনি বলেন, ‘তাদের (নারী) চাদোরি (মাথা থেকে পা পর্যন্ত বোরকা) পরা উচিত। কারণ এটি ঐতিহ্যবাহী এবং সম্মানজনক।’
এর পর পরই এ-সংক্রান্ত বিবৃতি দেয় মিনিস্ত্রি ফর প্রোপাগেশন অফ ভার্টিউ অ্যান্ড প্রিভেনশন অফ ভাইস। বলা হয়, সম্মানিত আফগান নারীদের জন্য হিজাব বা হেডস্কার্ফ পরা আবশ্যক। চাদোরিকে (নীল রঙের আফগান বোরকা বা পুরো শরীরের পর্দা) ‘সবচেয়ে উত্তম হিজাব’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মন্ত্রণালয়। লম্বা কালো পর্দা যা একজন নারীকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখে, সেসব পোশাককেও ধরা হবে হিজাব হিসেবে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দেয়া পোশাকের বর্ণনায় বলা হয়, ‘কোনো নারীর শরীর ঢেকে রাখার পোশাককে হিজাব হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে তা অবশ্যই খুব বেশি আঁটসাঁট হবে না। আবার শরীর দেখা যায় এমন পাতলাও যেন না হয়।’
তালেবান সরকারের এই আদেশ না নামলে সাজার মুখোমুখি হতে হবে। বিবৃতিতে সাজার বিবরণে বলা হয়, অপরাধী নারীর পুরুষ অভিভাবককে প্রথমে সতর্ক করা হবে। এতে কাজ না হলেও তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
‘যদি কোনো নারী হিজাব ছাড়া ধরা পড়ে, তার মাহরামকে (পুরুষ অভিভাবক) সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয়বার সেই অভিভাবককে (তালেবান কর্মকর্তাদের দ্বারা) ডেকে পাঠানো হবে। এর পরও না শোধরালে অভিভাবককে তিন দিনের জন্য বন্দি করা হবে।’
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আকিফ মুহাজির বলেন, ‘হিজাবের নিয়ম লঙ্ঘনকারী সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা হবে।’