বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সলোমনে চীনকে ঘাঁটি গাড়তে দেবে না অস্ট্রেলিয়া

  •    
  • ৮ মে, ২০২২ ২২:৪৮

চীন-সলোমনস চুক্তিটি প্রকাশ্যে না এলেও ফাঁস হওয়া খসড়া দেখে আতঙ্কে আছে এই অঞ্চলের দেশগুলো। চুক্তি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া থেকে দুই হাজার কিলোমিটারের কম দূরত্বে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করবে বেইজিং।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে চীনকে বাধা দেবে অস্ট্রেলিয়া। এ জন্য মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন একটি উত্তপ্ত প্রাক-নির্বাচন বিতর্কের সময় রোববার এ প্রতিশ্রুতি দেন।

বিরোধী লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ টেলিভিশন বিতর্কে নিরাপত্তা চুক্তিকে ‘পররাষ্ট্রনীতির বড় ব্যর্থতা’ বলে বর্ণনা করেছেন।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। গত মাসে সলোমনে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের ঘোষণা দেয় বেইজিং।

চীন-সলোমনস চুক্তিটি প্রকাশ্যে না এলেও ফাঁস হওয়া খসড়া দেখে আতঙ্কে আছে এই অঞ্চলের দেশগুলো। চুক্তি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া থেকে দুই হাজার কিলোমিটারের কম দূরত্বে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করবে বেইজিং।

প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, চীনের এ পদক্ষপ হবে ভয়াবহ। তারা সীমা অতিক্রম করতে যাচ্ছে।

রোববারের বিতর্কে উঠে আসে সেই শেষ সীমার বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে মরিসন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে। যাতে এই ধরনের পদক্ষেপ প্রতিরোধ করা যায়।’

মরিসন আরও বলেন, ‘“সলোমনে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া যে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, সে সম্পর্কে অনুমান করা ‘মূর্খতাপূর্ণ’ হবে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ছবি: সংগৃহীত

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ সরকার নিজেরাই আমাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তারা বলেছে, বিষয়টি এমন না যে তারা চাইছে বা সমর্থন করছে। আমি মনে করি, এ ধরনের সামরিক উপস্থিতি তাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি।”

আগামী ২১ মে অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় নির্বাচন। স্কট মরিসনের রক্ষণশীল সরকার সাম্প্রতিক জনমত জরিপে পিছিয়ে আছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবিত অঞ্চলে চীনের সম্প্রসারণ জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

চীনের সঙ্গে সলোমনসের চুক্তিকে মরিসন সরকারের চরম ব্যর্থতা বলছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ।

‘স্বচ্ছতার অভাব’

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন শুক্রবার রাতে ব্রিসবেনে সলোমনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমিয়া মানেলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় চুক্তির বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ‘গভীর উদ্বেগ’ এবং এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে ‘স্বচ্ছতার অভাব’ পুনরাবৃত্তি করেন।

তবে সলোমনের প্রধানমন্ত্রী মানসেহ সোগাভারে এই চুক্তির সমালোচনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

সোগাভারে বলেন, “সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আস্থার অভাবের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। চীনের সঙ্গে চুক্তিতে ‘চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই’।”

‘আমাদের সঙ্গে স্কুলছাত্রদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমরা বই-খাতা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাই আমাদের তত্ত্বাবধান করা দরকার।’

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ সরকার চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

এ বিভাগের আরো খবর