গৃহযুদ্ধের কারণে কঠিন পরিণতির দিকে এগোচ্ছে সিরীয় শিশুরা। জাতিসংঘ বলছে, সিরিয়া এবং সেখান থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া অন্তত ১ কোটি ২৩ লাখ শিশুর জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
২০১১ সালে সিরিয়ায় শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক দেশটি। সিরিয়া গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে, গৃহহীন কয়েক লাখ নাগরিক।
শুরুতে দেশটির বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সহায়তা পাঠালেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসছে।
এই অবস্থায় রোববার এ তথ্য জানায় জাতিসংঘ। সংস্থাটির শিশুবিষয়ক এজেন্সি ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে জানান, সিরিয়ার শিশুরা অনেক দিন ধরেই ভুগছে। তাদের আর কষ্ট দেয়া উচিত নয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিরিয়ার ভেতর কমপক্ষে ৬৫ লাখ শিশুর সহায়তার প্রয়োজন, যা ১১ বছরেরও বেশি সময় আগে সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ।
ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্যপ্রধান অ্যাডেল খোদর বলেন, ‘সিরিয়ার অভ্যন্তরে এবং প্রতিবেশী দেশে শিশুদের চাহিদা বাড়ছে।
‘অনেক পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ। এ ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আংশিকভাবে খাদ্যসহ মৌলিক সরবরাহের দাম আকাশচুম্বী হচ্ছে।’
খোদর আরও বলেন, ‘শিশুরা যুদ্ধের ধাক্কা বহন করছে। সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোয় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে প্রায় ৫৮ লাখ শিশু সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’
ইউনিসেফ বলছে, এসব সহায়তার জন্য গুরুতর নগদ ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে তারা। মানবিক কার্যক্রমের জন্য তহবিল দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। চলতি বছরে প্রয়োজনের অর্ধেকেরও কম তহবিল পেয়েছে ইউনিসেফ।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রধান ছিটমহলে ১০ লাখ শিশু অবস্থান করছে। এ জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সহযোগী সংস্থাটি।