ইয়েমেনে সৌদি জোটের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সমালোচনা করে আসছে। এমনকি অনেক পশ্চিমা দেশও ইয়েমেনে সামরিক অভিযানের নিন্দা করে আসছে। যদিও সৌদি আরবের দাবি ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ও ইয়েমেনের বৈধ সরকারকে রক্ষা করতেই এই সামরিক অভিযান।
এবার অব্যাহত আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টার অংশ হিসেবে শুক্রবার ১৬৩ হুতি যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং সংঘাত অবসানের পথ প্রশস্ত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে তাদের ইয়েমেনের এডেন ও সানায় পাঠাতে সহায়তা করা হয়েছে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১০৮ জনকে ইয়েমেনের অন্তর্বর্তী রাজধানী এডেনে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ৯ জনকে হুতি নিয়ন্ত্রিত সানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া হুতিদের হয়ে লড়াই করা ৯ জন বিদেশি যোদ্ধাকে তাদের দেশের দূতাবাসে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া জোটের পক্ষ থেকে আরও ৩৭ জন আহত যোদ্ধাকে সীমান্ত দিয়ে ইয়েমেনের প্রদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনটি বিমানে করে সৌদি আরব থেকে ১০০ জনের বেশি বন্দিকে ইয়েমেনে পাঠাতে সহযোগিতা করেছে রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি।
ইয়েমেনের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দিদের ফেরত নিতে অস্বীকার করেছে সানার হুতিরা। তাই তাদের আবারও এডেনে নিয়ে আসা হয়েছে এবং গাড়িতে করে তাদের গ্রাম ও শহরে নিয়ে যাওয়া হবে।
ইয়েমেনের মানবাধিকার বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং মিলিশিয়াদের সঙ্গে বন্দিবিনিময় আলোচনায় জড়িত সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য মাজেদ ফাদাইল এই মানবিক উদ্যোগের জন্য সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, হুতিরা জোটের অধীনে থাকা তাদের সামরিক নেতাদের মুক্ত করতে চায়।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের সমর্থনে সৌদি জোট ৭ বছর ধরে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। এই অভিযানের ফলে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় হলেও সৌদি জোটের সামরিক সাফল্য নেই বললেই চলে। এখনও হুতি যোদ্ধারা সৌদি আরব তার মিত্র দেশগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।