কিউবার রাজধানী হাভানার বিখ্যাত সারাতোগা হোটেলে শুক্রবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিক হওয়া থেকে বিস্ফোরণের সুত্রপাত। কিউবার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় সরাসরি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
হতাহতের বিষয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬৪ জন। আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে শিশু ও এক গর্ভবতী নারীও রয়েছেন।
কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বলা হয়েছে, বেঁচে থাকা অনেকে বেসমেন্টে আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা।
হাভানার সারাতোগা একটি ফাইভ স্টার মানের হোটেল। বিস্ফোরণে পাঁচতলা বিশিষ্ট এই হোটেলটির অন্তত তিনটি তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে চেম্বার তৈরি হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সূত্র খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যেই ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়েছে।
মহামারির সময় এই ঐতিহাসিক এই হোটেলটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আগামী চারদিনের মধ্যেই এটি খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা এবার মাঠে মারা গেল। বিস্ফোরণে ভবনটির বাইরের দেয়ালের বেশিরভাগই অংশই উড়ে গেছে। হোটেল খোলা থাকলে হতাহতের ঘটনা আরও অনেক বেশি হতো বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
হোটেলটির কাছাকাছি বসবাস করেন ইয়াজিরা ডি লা ক্যারিদাদ নামে একজন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, এটি হয়ত ভূমিকম্প!’
শহরের অনেকেই জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরপরই তারা কালো ধোঁয়া আর ধূলির মেঘ আকাশে উড়তে দেখেছেন।
এ ছাড়া বিস্ফোরিত হওয়া হোটেলটির ঠিক পেছনেই ছিল একটি স্কুল। তবে বিস্ফোরণে ওই স্কুলটির কোনো ক্ষতি হয়নি। সেখান থেকে শিশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এটা কোনো বোমা কিংবা হামলা নয়। দুর্ঘটনাজনিত কারণেই এমনটি ঘটেছে।’