ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কিউবার হাভানা শহর। এই শহরের বিখ্যাত সারাতোগা হোটেলে বিস্ফোরণটি ঘটেছে।
শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিস্ফোণের ঘটনায় অন্তত ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আহতদের কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, হাভানার সারাতোগা একটি ফাইভ স্টার মানের হোটেল। বিস্ফোরণে পাঁচতলাবিশিষ্ট এই হোটেলটির অন্তত তিনটি তলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে চেম্বার তৈরি হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সূত্র খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যেই ব্যাপক তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও কেউ আছে কি না খুঁজে দেখা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, মহামারির সময় এই ঐতিহাসিক হোটেলটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আগামী চার দিনের মধ্যেই এটি খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা এবার মাঠে মারা গেল। বিস্ফোরণে ভবনটির বাইরের দেয়ালের বেশির ভাগ অংশই উড়ে গেছে। হোটেল খোলা থাকলে হতাহতের ঘটনা আরও অনেক বেশি হতো বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
হোটেলটির কাছাকাছি বসবাস করেন ইয়াজিরা ডি লা ক্যারিদাদ নামের একজন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, এটি হয়তো ভূমিকম্প!’
শহরের অনেকেই জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরপরই তারা কালো ধোঁয়া আর ধূলির মেঘ আকাশে উড়তে দেখেছেন।
এ ছাড়া বিস্ফোরিত হওয়া হোটেলটির ঠিক পেছনেই ছিল একটি স্কুল। তবে বিস্ফোরণে ওই স্কুলটির কোনো ক্ষতি হয়নি। সেখান থেকে শিশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এটা কোনো বোমা কিংবা হামলা নয়। দুর্ঘটনাজনিত কারণেই এমনটি ঘটেছে।’
১৯৩০ সালে নির্মাণ করা বিলাসবহুল এই হোটেলটিতে মোট ৯৬টি কক্ষ রয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে হাভানার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কিছুটা তরল অবস্থায় গেলে ওই হোটেলে ম্যাডোনা, বিয়োন্সে, মাইক জ্যাগারের মতো বিশ্বখ্যাত তারকারাও অবস্থান করেছিলেন।