বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসি-কান্নার নাচে এ মিলন

  •    
  • ৬ মে, ২০২২ ১৬:২৯

ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ওকসানার দুটি পা-ই ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাম হাতের চারটি আঙুল। একটু পেছনে থাকায় রক্ষা পান ভিক্টর। তাকে উদ্ধার করে লেভিভের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন ভিক্টর। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয় ওকসানার দুই পা।

ওকসানা বালান্দিনা পেশায় নার্স। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে দুই পা আর বাম হাতের চারটি আঙুল হারিয়েছেন ২৩ বছরের এই তরুণী।

যুদ্ধরত ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের লেভিভ শহরে প্রেমিক ভিক্টর ভাসিলিভের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সম্ভাবনাময়ী এই নাচের শিল্পী।

লেভিভ শহরের লাইসিচানস্কির বাসিন্দা ওকসানা বাড়ির কাছের সড়কে ভিক্টরের হাত ধরে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন।

যুদ্ধরত সেই অঞ্চলের সড়কে কোনো বাহিনী পেতে রেখেছিল ল্যান্ডমাইন। গত ২৭ মার্চের সেই বিস্ফোরণের কয়েক মুর্হূত আগে প্রেমিককে মাইনের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন ওকসানা। তবে সেই শঙ্কাই বাস্তব হয়ে ওঠে তার জীবনে।

হাসপাতালে প্রেমিক ভিক্টরের সঙ্গে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে দুই পা হারানো ওকসানা। ছবি: সংগৃহীত

নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি। বিস্ফোরণে তার দুটি পা-ই ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাম হাতের চারটি আঙুল। একটু পেছনে থাকায় রক্ষা পান ভিক্টর। তাকে উদ্ধার করে লেভিভের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন ভিক্টর। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয় ওকসানার দুই পা।

লেভিভ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দুই পা নেই বলে ওকসানার জীবন থেমে থাকবে না। তাকে কৃত্রিম পা দেয়া হবে। তা নিয়েই ওকসানা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।

সেখানে ভিক্টরের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা। কেবিনেই বসে বিয়ের আসর। কেক তৈরি করেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। নবদম্পতির হাতে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পার্টি।

সেখানে ভিক্টরের কাঁধ জড়িয়ে ধরে ঝুলন্ত অবস্থায় নাচেন ওকসানা। ভালোবাসার এমন জয় দেখে উচ্ছ্বাস আর চাপাকান্নার এক মিশ্র আবহ তৈরি হয়। সেই অবস্থায় চুম্বন করেন তারা।

ছোটবেলা থেকেই ওকসানার নাচার শখ। পড়াশোনার সঙ্গে নাচের প্রশিক্ষণও নিতেন যথারীতি। পা হারিয়েও নৃত্যশৈলীতে কোনো কমতি ছিল না ওকসানার।

এরই মধ্যে তাদের নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ইউক্রেনের পত্রিকায় তারা লেখেন— ‘অদম্য এক প্রেমের গল্প। চলার পথে হাজারও বাধা-বিপত্তি থাকবেই। তাই বলে জীবন স্থবির হতে পারে না।’

এ বিভাগের আরো খবর