পাকিস্তান সরকারের শীর্ষ নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। টেলিফোনে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, বিভিন্ন খাতের পরিষেবা প্রধান এবং প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকদের সঙ্গে কথা হয় পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃত্বকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান শাহবাজ। এক দিন আগে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল কামাল জাভেদ বাজওয়া, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ আমজাদ খান নিয়াজি, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবের সিধুর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শাহবাজ শরিফ। এ সময় তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং গিলগিট বাল্টিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ও বেলুচিস্তানের ভারপ্রাপ্ত গভর্নরের সঙ্গেও। বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় তার সঙ্গে কথা হয়নি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, জামায়াতে ইসলামির নেতা সিরাজুল হক এবং পিডিএম প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানকেও টেলিফোন করে শুভেচ্ছা জানান শাহবাজ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিত্র মাওলানা আসাদ মাহমুদ, মহসিন দাওয়ার, খালিদ মকবুল সিদ্দিকী, সরদার আখতার মেঙ্গল, আল্লামা সাজিদ মীর, খালিদ মাগসি, মাহমুদ খান আচাকজাই, আলি নওয়াজ শাহ, শাহজাইন বুগতি, আসলাম ভোটানি এবং চৌধুরী সালিক হুসেনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন শাহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব, বিরোধীদের ‘ষড়যন্ত্র’, খুন, আদালতের হস্তক্ষেপ কিংবা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে সবাইকে। এর সর্বশেষ উদাহরণ সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গত মাসে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা ছাড়ছে বাধ্য হন ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খান।