বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইথিওপিয়ায় ঈদের নামাজে পুলিশের টিয়ারশেল

  •    
  • ২ মে, ২০২২ ২১:৫০

আদ্দিস আবাবা হাই কাউন্সিল অফ ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের এক সদস্য এএফপিকে বলেন, ‘সংঘর্ষের কারণ স্পষ্ট নয়। স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। অনেকে বাইরে নামাজ আদায় করছিলেন।’

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ঈদের নামাজ আদায়ে আসা মুসল্লিদের ওপর টিয়ারশেল ছুড়েছে দেশটির পুলিশ। শহরের কেন্দ্র মেসকেল স্কয়ারে অবস্থিত আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, সম্ভাব্য দাঙ্গা ঠেকাতে চড়াও হয়েছিলেন তারা।

পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া জাতিসত্তার একটি ভিন্নধর্মী মিশ্রণ। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান, জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মুসলিম।

গত মাসে উত্তর-পশ্চিমের আমহারা প্রদেশের গনদার শহরে মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ হামলা চালায় উগ্রপন্থী কিছু খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী। এতে প্রাণ হারান অন্তত ২০ জন। সেই থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে গোটা দেশজুড়ে।

আদ্দিস আবাবা হাই কাউন্সিল অফ ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের এক সদস্য এএফপিকে জানান, সংঘর্ষের কারণ স্পষ্ট নয়। স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। অনেকে বাইরে নামাজ আদায় করছিলেন।

‘একজন পুলিশ সদস্য জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছিল। কিন্তু এটি অনিচ্ছাকৃত ছিল। অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ওই পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। অনেকে স্লোগান দিতে শুরু করে... পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’

আদ্দিস আবাবা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, কিছু ব্যক্তি দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছিল, সম্পদের ক্ষতি করতে চেয়েছিল। পরিস্থিতি সামলে নিয়েছি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

আদ্দিস আবাবার কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ১৯৯১ সালে মার্কসবাদী-সামরিক ডারগ সরকারের অবসানের পর থেকে প্রতি বছর শহরে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এই ধরনের ঘটনা ঘটল। এখানে উপস্থিত মুসলমানরা নিরস্ত্র ছিল, কারণ প্রবেশের আগে প্রত্যেককে তল্লাশি করেছিল পুলিশ।

‘মুসলিমরা চায় এই উৎসবটি শান্তিতে কাটুক।’

এ বিভাগের আরো খবর