পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সৌদি আরবের জমা রাখা ৩ বিলিয়ন ডলার আরও বেশি দিন রাখা যায় কি না, সে প্রশ্নে আলোচনা হবে দেশ দুটির মধ্যে। যৌথ বিবৃতিতে রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অপরিশোধিত তেলজাতীয় পণ্য রপ্তানিতে অর্থায়নসংক্রান্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব, তাকে পাকিস্তান স্বাগত জানিয়েছে।
রিয়াদে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়।
পাকিস্তানের বৈদেশিক রিজার্ভ বাঁচাতে গত বছর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৩ বিলিয়ন ডলার জমা রেখেছিল সৌদি সরকার। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান খান। গত মাসে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসেন শাহবাজ শরীফ।
সৌদি আরব সব সময় পাকিস্তানের পাশে থেকেছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অর্থ রাখার মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনার পাশাপাশি পেট্রোলিয়াম পণ্যে আরও সৌদি বিনিয়োগের উপায় খুঁজে বের করা হবে। পাকিস্তানের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এসব পদক্ষেপ নেয়া হবে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সুসংহত করতে চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদ উপড়ে ফেলতে চায় সৌদি আরব ও পাকিস্তান। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের দেশগুলোর ঐক্য ও স্বাধীনতা এবং তাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করতে বদ্ধ পরিকর তারা। যে কোনো সংকট আলোচনার মাধ্যমে নিরসনে বিশ্বাস করে রিয়াদ-ইসলামাবাদ।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর সৌদি সফরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় যেগুলো পারস্পরিক উদ্বেগের, এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
- আরও পড়ুন: এবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের হুমকি
আন্তর্জাতিক আইন মেনে অন্য দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আরচনে জোর দিয়েছে সৌদি আরব ও পাকিস্তান। শান্তি আলোচনায় সংকট সমাধানের কথা জানিয়েছে তারা।
জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধসহ ভারতের সঙ্গে সব বৈরিতার অবসানের পথ খুঁজতে পাকিস্তানের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি সরকার। কাশ্মীরে স্থিতিশীলতা ফেরাতে দুই পক্ষই আলোচনায় গুরুত্ব দিয়েছে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ ছাড়েন শাহবাজ শরীফ।