ভারতে বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লার অভাব ও গ্রীষ্মের গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট, দিল্লি, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে কয়লার ঘাটতি দেখা গিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। এমনকি দিল্লিতে হাসপাতাল ও মেট্রো পরিচালনাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় কয়লাবাহী মালগাড়ি দ্রুত চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে কয়লার জোগান স্বাভাবিক রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ের নির্বাহী পরিচালক গৌরব কৃষ্ণ বনসাল বলেছেন, যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিলের এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আবার চালু হবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা স্থানান্তর করতে যে সময় লাগে তা কমানোরও চেষ্টা চলছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে রেলওয়ে তার বহরে আরও এক লাখ ওয়াগন যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। সেখানে কয়লার মজুত ১৭ শতাংশ কমে গেছে।
এদিকে ভারতের অনেক অংশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। এরই মধ্যে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ তাপপ্রবাহ সতর্কতা জারি করেছে।
মার্চ মাসে ভারতের গড় তাপমাত্রা ছিল ৯২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। ১৯০১ সাল থেকে ভারতের তাপমাত্রা পরিমাপ করার পর থেকে এবারই এক মাসে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড হলো।