ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তুরস্কের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে গ্রিস। এথেন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমান দিয়ে তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ন্যাটোর ঐক্যও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কারণ উভয় দেশই ন্যাটোর সদস্য।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার আজিয়ান সাগরে আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এথেন্সে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বেআইনি ও ‘অগ্রহণযোগ্য উসকানি’।
বৃহস্পতিবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস বলেছেন, তিনি ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টোলেনবার্গকে আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি অবহিত করেছেন।
মিতসোতাকিস বলেন, ‘আমি ন্যাটো মহাসচিবকে পরিষ্কার করে দিয়েছি যে ন্যাটো মিত্রের এই ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য।
‘এটি ইউরোপীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি ন্যাটোর ঐক্যকে ক্ষুণ্ণ করছে এমন সময়ে, যখন ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণ মোকাবিলার জন্য আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা অপরিহার্য।’
তবে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এথেন্সের মন্তব্য বাস্তবতার প্রতিফলন নয়। গ্রিস উত্তেজনাকে উসকে দিচ্ছে এবং তুরস্কের বিমানবাহিনী নিয়মানুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
তুরস্কের অভিযোগ, গ্রিসের বিমান বাহিনী ২৬-২৮ এপ্রিল তুরস্কের উপকূলের কাছে উসকানিমূলক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে এবং বারবার তুরস্কের দাটকা, দালামান ও দিদিমে আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যদিও গ্রিস উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পক্ষ, ভিত্তিহীন দাবি করে আমাদের দেশকে অভিযুক্ত করা ইতিবাচক পরিকল্পনা ও ভালো প্রতিবেশীসুলভ আচরণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
এর আগে ১৯৯৬ সালে অ্যাজিয়ান দ্বীপ নিয়ে গ্রিস ও তুরস্ক প্রায় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। উভয় দেশই ন্যাটোর সদস্য হলেও সমুদ্রসীমা, আকাশসীমা ও কিছু অ্যাজিয়ান দ্বীপ নিয়ে দুই দেশের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে।