ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এতে প্রতিরক্ষা ও মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে এই বৈঠক হয়। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বরিস জনসন বলেন, ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত ও উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে দুই দেশের একটি যৌথ স্বার্থ রয়েছে, বিশেষ করে স্বৈরাচারী চাপের ক্রমবর্ধমান হুমকি।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে ঐতিহাসিক মন্তব্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এবং ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য সংলাপ ও কূটনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা।’
বরিস জনসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্রিটেন এবং ভারত একটি নতুন এবং প্রসারিত প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা অংশীদারত্বে সম্মত হয়েছে। দুই দেশ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরকে উন্মুক্ত ও মুক্ত রাখার স্বার্থের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার। এই অংশীদারত্বকে দশক-দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, যুক্তরাজ্য ভারতকে বায়ু, আকাশ, মহাকাশ, সমুদ্র এবং সাইবার হুমকি মোকাবিলায় সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও গভীর করার জন্য যুক্তরাজ্য নতুন ভারতীয়-নকশা করা এবং নির্মিত ফাইটার জেটগুলোর জন্য সহায়তা দেবে। যুদ্ধবিমান তৈরির বিষয়ে তারা ব্রিটিশদের সর্বোত্তম কারিগরি জ্ঞান বিনিময় করবে ভারতের সঙ্গে।
এ সময় দুই দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কৌশলগত ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । এর পাশাপাশি কূটনীতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রনেতাই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে একমত হন। মোদি বলেন, ‘ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সব সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা আলোচনা এবং কূটনৈতিক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছি। সব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে বজায় রাখার গুরুত্ব নিয়ে আবারও মত ব্যক্ত করা হয়েছে।’
বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি, গ্লাসগোয় তাদের জলবায়ু প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।