ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক যোদ্ধা গেছেন। কিন্তু আফ্রিকা থেকে কোনো যোদ্ধা রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে গেছেন, এমনটা শোনা যায়নি।
এবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার রুশ দূতাবাসের সামনে প্রতিদিন দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, অনেক যুবক, এমনকি বৃদ্ধও তাদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করার রেকর্ড হাতে নিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ের আশা নিয়ে এসেছেন।
দূতাবাসের আশপাশের বাসিন্দারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক স্বেচ্ছাসেবকদের ঢল নেমেছে।
রয়টার্সের সাংবাদিকরাও দূতাবাসের বাইরে ইথিওপিয়ান নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে কয়েক শ লোককে নিবন্ধন করতে দেখেছেন। নিরাপত্তারক্ষীরা এ সময় তাদের নাম লিপিবদ্ধ করেন এবং সামরিক বাহিনীতে চাকরির প্রমাণ দেখতে চান।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো ইথিওপীয় ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন কি না তার নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
দূতাবাসের একজন কর্মী দোভাষীর মাধ্যমে রুশ ভাষায় স্বেচ্ছাসেবকদের বলেন, রাশিয়ার যথেষ্ট বাহিনী রয়েছে, যদি তাদের প্রয়োজন হয়, যোগাযোগ করা হবে।
ইউক্রেনে ইথিওপিয়া থেকে কাউকে মোতায়েন করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি।
পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রুশ দূতাবাস ইথিওপীয়দের নিয়োগ দিচ্ছে না।
ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির সেনা নিয়োগের গুজব খণ্ডন করায় রাশিয়াকে ধন্যবাদ দিয়েছে।
শুরু থেকেই ইথিওপিয়া যুদ্ধে সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যদিও জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবগুলোতে ভোটদানে বিরত থাকে আফ্রিকার দেশটি।