যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ের বাইরে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ে অকাস জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী নয়। সে ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে চীনের উষ্ণ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। শুধু নিরাপত্তা ইস্যুতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের প্রভাব রুখতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অকাস নিরাপত্তা জোটে যোগদানের সময় চলে এসেছে বলে মনে করে না নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। শুধু নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ইস্যুতে আগ্রহী নয় দেশটি।
তিনি বলেন, অকাসের ডাকে আমাদের উত্তর ‘হ্যাঁ’। কিন্তু এটা তখনই আমাদের উপকার করবে যখন এর পরিধি ব্যাপক হবে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক কাঠামোতে আগ্রহ দেখাতে বলেছি, এটি কেবল প্রতিরক্ষা কিংবা নিরাপত্তার ব্যাপার হতে পারে না।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পশ্চিমা অন্যান্য দেশের অভিযোগ রয়েছে, দেশটি চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় না। সমালোচকরা বলছেন, জেসিন্ডা প্রশাসন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে অর্থনৈতিক কারণে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তৈরি করতে চায়।
২০০৯ সালে সাংহাইতে এক তরুণীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত নিউজিল্যান্ডের স্থায়ী বাসিন্দা কিউং ইয়ুপ কিমকে চীনের কাছে ফেরত দিতে রাজি হওয়ায় জেসিন্ডা সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
তবে জেসিন্ডা আরডার্ন বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়েলিংটনের সম্পর্ক সেই অর্থে গোপনও করেননি।
তিনি বলেছেন, ‘চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও পরিপক্ব। যেখানে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে। সেখানে একসঙ্গে কাজ করব। তবে সব সময় এমন কিছু বিষয় থাকবে, যেখানে আমরা একমত হব না এবং সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে, আমরা আমাদের অবস্থানের বিষয়ে খুবই স্পষ্ট ও স্পষ্ট।’
তিনি একই সঙ্গে মত দিয়েছেন, দুই দেশের স্বার্থেই চীনের সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তবে সলোমন প্রশান্ত মহাসাগরের সলোমন দ্বীপপুঞ্জের চীনের সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়ে হতাশার কথাও তিনি বিবিসিকে বলেছেন।