ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ করতে কিয়েভে একটি ‘খসড়া নথি’ পাঠিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদের পেসকভ বলেন, ‘বল তাদের কোর্টে। আমরা উত্তরের অপেক্ষায়। তবে আলোচনার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার আগ্রহ তাদের কম।
‘কথা থেকে ইউক্রেনের সরে আসার প্রবণতা অনেক। মুহূর্তে মুহূর্তে তারা অবস্থান বদল করে। এসব আচরণ আলোচনার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনীয় আলোচকদের ওপর আস্থা হারিয়েছে তারা।
স্থানীয় একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাখারোভা বলেন, ‘বিশ্বাসকে যাচাই করুন। কারণ ইউক্রেনীয়দের ওপর দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কোনো আস্থা নেই। ইউক্রেনীয় সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করছে না। বাইরে থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’
‘কিয়েভ শাসক’দের আলোচনার প্রক্রিয়াকে ‘সার্কাস’ হিসেবে বর্ণনা করে জাখারোভা আরও বলেন, “আলোচনায় কিয়েভের অংশগ্রহণ একটি কৌশল ছাড়া আর কিছুই না। তবে মস্কো এর জন্য প্রস্তুত।”
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর আগে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত দোনেৎস্ক ও লুগানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন পুতিন।
সংকট সমাধানে দেশ দুটি কয়েক দফা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি আলোচনায় বসলেও মেলেনি সমাধান। গত ২৯ মার্চ শেষবার বিবদমান পক্ষরা সরাসরি আলোচনায় বসেছিল।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১২ এপ্রিল জানান, আলোচনা অচলাবস্থায় পৌঁছে গেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ পূরণে অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। এসব অনুরোধের মধ্যে আছে- ক্রিমিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা এবং ডনবাস প্রজাতন্ত্রকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়া।
পুতিনের উপদেষ্টা আলেক্সি আরেস্তোভিচ মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, রুশ সেনারা কৃষ্ণসাগরের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর মারিউপোল দখল করলে শান্তি আলোচনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সহযোগী মিখাইল পোডোলিয়াক জানান, আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। তবে আমাদের অবশ্যই রাশিয়ার সঙ্গে কিছু আলোচনা শুরু করতে হবে।