রুশ সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধ শুরু করেছে, এমনটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
দ্য হিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি এখন বলা যেতে পারে, দোনবাসের জন্য রুশ সৈন্যরা যুদ্ধ শুরু করেছে, যার জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইউক্রেনে মোতায়েন রুশ সেনাবাহিনীর বড় একটি অংশ এই আক্রমণের দিকে মনোনিবেশ করেছে।’
ভাষণে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘সেখানে যতই রুশ সেনা থাক না কেন, আমরা লড়াই করব। আমরা নিজেদের রক্ষা করব।’
একই সঙ্গে তিনি ভাষণে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে যারা দোনবাস ও মারিওপোলের মতো কঠিন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যুদ্ধ করছেন।
সোমবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় রুশ বাহিনীকে গণহত্যাকারী বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনে আমাদের বাহিনীর দিকে মনোনিবেশ করেছে।
সেই টুইটে আরও বলা হয়েছে, ‘রকেট হামলা, বোমা হামলা এবং ব্যাপক আর্টিলারির গোলাগুলি চলছে। আকাশ থেকে বোমা ফেলে মারিওপোলকে ধ্বংস করা হচ্ছে। আমাদের সেনারা শত্রুকে আঘাত করছে ও আঘাত করতে থাকবে।’
এই মাসের শুরুতেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও চেরনিহিভেড় আশপাশ থেকে রুশ বাহিনী সরিয়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। তুরস্কে শান্তি আলোচনার পর রাজধানী থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ মনে হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন দাবি করেছিল, দোনবাস এলাকাকে লক্ষ্য করে রুশ সেনারা এই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
এদিকে রুশ বাহিনী মারিওপোল দখলের দাবি করলেও দোনবাস অঞ্চল নিয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু বলেনি। তবে কৃষ্ণসাগর ফ্লিটের প্রধান জাহাজ মস্কভাডুবির পর পুরো ইউক্রেনেই হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।