ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান চলছে। এর মধ্যেই বিশ্বনেতারা কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের থেকে শুরু করে সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও কিয়েভ সফরে গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কিয়েভ সফরের সম্ভাবনা নেই।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কিয়েভ সফরের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন না গেলেও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিকেই কিয়েভ সফরে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের কেউ একজন কিয়েভ সফরে যাবেন।
যদিও রোববার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিয়েভ সফরে যাবেন।
তিনি বলেন, ‘এটা তার সিদ্ধান্ত, অবশ্যই নিরাপত্তা অবস্থাও একটা বিষয়, এটি নির্ভর করে। কিন্তু আমার মনে হয় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতা, তার অবশ্যই দেখতে আসা উচিত।’
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শিগগিরই কিয়েভে দূতাবাস পুনরায় চালু করবে যুক্তরাষ্ট্র।
দূতাবাস ফেরানোর কোনো সময়সীমা নির্ধারণ না করে দিলেও সাকি বলেন, অবশ্যই কূটনৈতিক উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
তবে সামরিক অভিযান শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভ থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিতে শুরু করে।
কিয়েভের কাছ থেকে রুশ সেনারা সরে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো দেশই দূতাবাস ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।