বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেসিডেন্টের ‘অনাগ্রহে’ আটকে পাকিস্তানের নতুন মন্ত্রীদের শপথ

  •    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:০৭

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজকেও শপথ পড়ানোর কথা ছিল প্রেসিডেন্টের। তবে ওই শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন আরিফ আলভি।

নানা ঘটনার পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শাহবাজ শরিফ; এবার প্রস্তুতি চলছে তার মন্ত্রিসভা গঠনের। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যে হবে শপথও।

তবে নতুন এই মন্ত্রীদের শপথ পড়াতে চান না দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। প্রেসিডেন্টের ‘অনাগ্রহে’ স্থগিত করা হয়েছে শপথ অনুষ্ঠান।

জিও নিউজ একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার এ তথ্য জানিয়ে বলছে, প্রেসিডেন্ট আরিফের পরিবর্তে নতুন মন্ত্রীদের শপথ পড়াতে পারেন সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজকেও শপথ পড়ানোর কথা ছিল প্রেসিডেন্টের। তবে ওই শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন আরিফ আলভি।

পরে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি অসুস্থ বোধ করছেন এবং তার চিকিৎসকরা কয়েক দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। ফলে সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ান।

প্রেসিডেন্ট কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় নতুন মন্ত্রীদের শপথ নেয়ার কথা ছিল। প্রেসিডেন্ট এই শপথ পড়াতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন।

জানা গেছে, পাকিস্তানে নবনির্বাচিত সরকারে প্রথম দফায় শপথ নিতে পারেন ১০ থেকে ১২ জন মন্ত্রী।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, মন্ত্রিসভা হতে পারে ২৫ সদস্যের। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) থেকে আসতে পারেন ১৪ জন, ১১ জন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি)। বাকি একজন মন্ত্রী হবেন জোটের কোনো দলের।

মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত করার আগে রোববার রাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি এবং তার ছেলে ও পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে আসিফ আলি জারদারি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজকে প্রথম দফায় জোটের সব অংশীদারকে মন্ত্রিসভায় পদ দেওয়ার পরামর্শ দেন। আর দ্বিতীয় দফায় পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে বলে জানান তিনি।

অবশ্য আগের দিন শনিবার আসিফ আলি জারদারি একজন সাংবাদিককে জানিয়েছিলেন, পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না। কারণ তিনি চান জোটের অংশীদারদের আগে স্থান দেয়া হোক। পরে পিপিপির জ্যেষ্ঠ নেতারা তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ওই বক্তব্যের অর্থ এই নয় যে দল মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না।

বিভিন্ন নাটকীয়তার পর গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতের অনাস্থা ভোটে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান ঘটে। তিনি দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

এরপরই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আবার ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।

দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান। তার সরকারের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত।

এ বিভাগের আরো খবর