ইউক্রেনের শহর মারিওপোলে রুশ সেনাদের দেয়া আত্মসমর্পণের আলটিমেটাম উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববারের মধ্যে ‘আত্মসমর্পণ করো, নয়তো মরো’ রাশিয়ার দেয়া এমন আলটিমেটামকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরটির একটি স্টিলের কারখানায় ঘাঁটি গেড়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
শহরটিতে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে রোববার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় মস্কো।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে স্টিলের কারখানা ছেড়ে চলে যেতে হবে ইউক্রেনীয়দের।
মারিওপোল শহরে রুশ সেনাদের অবস্থান। ছবি: এএফপি
এর আগে শনিবার সকালে আজভ সাগরের উত্তর উপকূলে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তম শিল্পনগরী মারিওপোল সম্পূর্ণ দখলে নেয়ার দাবি করে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি স্টিল কারখানায় অল্প কিছু ইউক্রেনের সেনা রয়েছে। এ ছাড়া পুরো শহর দখলে নেয়া হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সবচেয়ে মারাত্মক লড়াইয়ের ক্ষেত্র এবং মানবিক বিপর্যয়স্থল মারিওপোল দখলের রুশ দাবিটি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা যায়নি।
দাবি সত্যি হলে মারিওপোলই হবে রুশ সেনাদের দখলে নেয়া প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ শহর। ৭ সপ্তাহ সময় ধরে অবরুদ্ধ শহরটি অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই মারিওপোল নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি রুশ সেনাদের হাতে চলে এলে ইউক্রেন থেকে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়া অঞ্চলে ঢোকার আরেকটি করিডরের পূর্ণ দখলও চলে আসবে মস্কোর কাছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, ‘মারিওপোলের পুরো শহরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করা হয়েছে…ইউক্রেনের বাহিনীর অংশবিশেষকে আজভস্তাল ধাতু ক্ষেত্র এলাকা পুরোপুরি ঘিরে রাখা হয়েছে।
‘তাদের জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায় হলো স্বেচ্ছায় অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করা।’
কোনাশেনকভ জানান, মারিওপোল ‘মুক্ত’ করার সময় ইউক্রেনের ১ হাজার ৪৬৪ সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মারিওপোলে থাকা ইউক্রেনের সেনারা আত্মসমর্পণ করলে প্রাণে বেঁচে যাবেন।