প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন চলার সময় হামলার শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি। শনিবার অধিবেশন শুরু হলে সদ্য ক্ষমতা হারানো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এমপিরা তার ওপর হামলা করেন।
এ সময় মাজারিকে থাপ্পড়, কিল-ঘুষি, এমনকি ফুলের টবও ছুড়ে মারা হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শনিবার পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য মাজারি যখনই তার আসন গ্রহণ করেন, তখনই ইমরান খানের দলের এমপিরা তাকে আক্রমণ চালিয়ে আহত করে।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইমরান খানের দলের এমপিরা মাজারির চুল ধরেও টানা-হেঁচড়া করছেন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা পদ্মফুল নিয়ে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে হাজির হন। পিটিআই ত্যাগ করে বিরোধীদের জোটে যোগ দেয়া এমপিদের উদ্দেশে ‘লোটা, লোটা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে তারা বিরোধী এমপিদের আসনে বসার সিদ্ধান্ত নেন।
তারা জানান, দলের ২৪ ভিন্নমতবালম্বী সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট দিতে দেবেন না।
পরে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা ও হট্টগোরের পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের প্রার্থী হামজা শেহবাজ। নির্বাচন ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে।
৩৭১ আসনের প্রাদেশিক পরিষদের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে প্রয়োজন হয় ১৮৬ ভোট। সেখানে হামজা শেহবাজ পেয়েছেন ১৯৭ ভোট।
ইমরানের দলত্যাগ করা এমপিরা ভোট না দিলে হামজা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না।
গত ৯ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেহবাজ শরিফ।