বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেরুজালেমে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের জায়গা নেই: হামাস

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৪৬

কয়েক হাজার মুসল্লি শুক্রবার ফজরের নামাজের জন্য আল-আকসা মসজিদে যান। ইহুদি দর্শনার্থীদের চলাচলের পথ করে দিতে সে সময় মুসল্লিদের বেধড়ক পেটায় ইসরায়েলি পুলিশ। এতে আহত হন অন্তত ১৫৮ জন, আটক হন শতাধিক।  

আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিন। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের হামলা ‘ভয়াবহ পদক্ষেপ’। এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে দেখছে ফিলিস্তিনিরা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী এবং ইহুদি সম্প্রদায় পবিত্র এই স্থানটি দখলের চেষ্টায় মত্ত। এই আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

কয়েক হাজার মুসল্লি শুক্রবার ফজরের নামাজের জন্য আল-আকসা মসজিদে যান। ইহুদি দর্শনার্থীদের চলাচলের পথ করে দিতে সে সময় মুসল্লিদের বেধড়ক পেটায় ইসরায়েলি পুলিশ। এতে আহত হন অন্তত ১৫৮ জন, আটক হন শতাধিক।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণ যে কোনো মূল্যে আল-আকসা মসজিদকে রক্ষা করবে। জেরুজালেমে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের জায়গা নেই।”

জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ হতে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে হামাস।

হামাসের এই আহ্বানকে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের মুখপাত্র ওফির জেন্ডেলম্যান বলেন, ‘যারা আমাদের “দাঙ্গাবাজ” বলে আখ্যা দিয়েছে, তাদের জেরুজালেমে প্রার্থনা করার অনুমতি দেয়া হবে না।

‘আল-আকসা মসজিদের পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করতে কোনো কারণ ছাড়াই পাথর ছুঁড়েছে “ফিলিস্তিনির ঠগরা”। ইসরায়েলি পুলিশ বাধ্য হয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চরমে। ইসরায়েলের ভেতরে ফিলিস্তিনিদের একের পর এক হামলার জবাবে পশ্চিম তীরে গ্রেপ্তার ও সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব অভিযানেও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

গত চার দিনে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বুধবারই নিহত হন চারজন।

পবিত্র রমজান ঘিরে লক্ষাধিক মুসলিম শুক্রবার বিকেলের নামাজের জন্য আল-আকসায় জড়ো হবেন বলে আশা করা হয়েছিল।

উগ্র ডানপন্থি ইহুদিগোষ্ঠী আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। ছবি: এএফপি

গত রমজানেও সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলেছিল জেরুজালেমে। একপর্যায়ে গাজা উপত্যকায় ১১ দিনব্যাপী অভিযান চালায় ইসরায়েল।

অসম এই লড়াইয়ে কমপক্ষে ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন; প্রাণ হারান ১৩ ইসরায়েলি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় অঞ্চলটি।

জেরুজালেম ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং মুসলমান- এই তিন সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান। চলতি বছরের রমজানের মধ্যে ‘ইহুদি নিস্তারপর্বের ছুটি’ এবং ‘খ্রিস্টীয় পবিত্র সপ্তাহ’ পড়েছে। এতে লাখ লাখ তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে জেরুজালেমে।

কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ এই আল-আকসা মসজিদ। ২০০০-০৫ সাল পর্যন্ত মুসলিমদের ইন্তিফাদা বা বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল এটি।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ওল্ড সিটিসহ পূর্ব জেরুজালেম দখলে নেয় ইসরায়েল। এরপর আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ফিলিস্তিনিদের জমি দখলে নামে তেলআবিব। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন।

প্রতিবাদে ফেটে পড়ে গোটা মুসলিমবিশ্ব। ফিলিস্তিনিরা চাইছে, শহরের পূর্ব অংশ পশ্চিম তীর এবং গাজা নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী প্রতিষ্ঠা করতে।

শুক্রবারের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে পবিত্র এই স্থানের তত্ত্বাবধায়ক দেশ জর্ডানে। জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে আল-কালৌতি মসজিদের বাইরে শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সংহতি জানিয়েছে। এ সময় ফিলিস্তিন ও হামাসের পক্ষে স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধরা। আল-আকসা প্রাঙ্গণে অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে মিসর।

এ বিভাগের আরো খবর