বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে: রাশিয়া

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ১২:৪৮

রাশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ মস্কভা ডুবে যাওয়ার পর ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেয়া নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে ক্রেমলিন। এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর দাবি, পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।

কৃষ্ণসাগর ফ্লিটের প্রধান যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কভা’ ডুবে গেছে। ইউক্রেনের দাবি, তাদের জাহাজ বিধ্বংসী নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মস্কভার এই পরিণতি হয়েছে। ইউক্রেনের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রুশিয়া ওয়ানের উপস্থাপক ওলগা স্কাবেয়েভা মস্কভা ডুবে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘ এর ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলা যেতে পারে। এটি একদম নিশ্চিত। আমরা ন্যাটোর প্রযুক্তির সঙ্গেই যুদ্ধ করছি।’

রুশিয়া ওয়ানের উপস্থাপক ওলগা স্কাবেয়েভা মস্কভা

এদিকে ১২ হাজার ৫০০ টনের আটলান্ট-ক্লাস মিসাইল ক্রুজার এই মস্কভা জাহাজটি রুশ নৌবাহিনীতে সার্ভিস দিয়ে আসছিল ১৯৭৯ সাল থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬টি অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, টর্পেডো ও গান। কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন আটলান্ট-ক্লাসের এটিই একমাত্র জাহাজ। এ ছাড়া বাকি দুটি মিসাইল ফ্রিগেট ‘মার্শাল উসতিনভ’ ও ‘ভারইয়াগ’ রাশিয়ার নর্দান ও প্যাসিফিক ফ্লিটে মোতায়েন রয়েছে।

দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইওডব্লিউ) বলছে, এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে ইউক্রেনের আঘাতেই মস্কভা ডুবেছে কি না। তবে মস্কভা হারানো সেটা যে কারণেই হোক না কেন, ইউক্রেনের প্রপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য এটি বড় বিজয়।

মস্কভা ডুবে যাওয়া রুশ নৌবাহিনীর আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরাবে।

কিন্তু সামরিক বিবেচনায় মস্কভা ডুবে যাওয়ায় রাশিয়ার যুদ্ধ পরিকল্পনায় খুব একটা ব্যাঘাত ঘটার কথা নয়।

এই জাহাজটি ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন ছিল।

আইওডব্লিউ বলছে, মস্কভা সম্ভবত ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জামকেন্দ্রগুলোতে ও বিমানঘাঁটিগুলোতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে ব্যবহৃত হতো।

ডুবে যাওয়ার ৬ দিন আগে মাক্সারের ছবিতে মস্কভা

এ ধরনের হামলা খুব কাজে দিলেও বিমান হামলা কিংবা ভূমি থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এর তাৎপর্য খুবই নগণ্য।

রাশিয়ার সামরিক বিশ্লেষক আলেক্সান্ডার খ্রামাচিখিন মস্কভা ডুবে যাওয়াকে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘জাহাজটি খুবই পুরোনো। প্রায় ৫ বছর আগে থেকেই একে অবসরে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল।

‘এর প্রকৃত সামরিক মূল্যের থেকেও এর সামগ্রিক মর্যাদা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান সামরিক অভিযানে এর খুব একটা ভূমিকা নেই। এটি ডুবে যাওয়াতেও অভিযানের কোনো প্রভাব পড়বে না।’

যদিও রাশিয়া শুরু থেকেই ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধ বলতে নারাজ। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে অসামরিকায়ন ও নাৎসিমুক্তকরণের জন্য রুশ সেনারা বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।

এ ছাড়া ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় রাশিয়া। তবে ইউক্রেন বলছে, বিনা উসকানিতেই হামলা করেছে রাশিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর