ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। পাল্টা প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনীয় সেনারাও। এরই মধ্যে রুশ সেনারা দোনবাস অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তাদের সামরিক পরিকল্পনা গুছিয়ে আনছে। ইউক্রেনও ন্যাটোভুক্ত দেশ থেকে ট্যাংক, এস-৩০০-এর মতো অস্ত্র পেয়েছে। সহসা সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ঘণ্টায় অনেক কিছুই ঘটে গেছে। নিউজবাংলা পাঠকদের জন্যই বিবিসির বরাতে তা সংক্ষেপে জানাচ্ছেন মো. ইমরান রহমান।
পশ্চিমাদের সতর্ক করেছে রাশিয়া
ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়ার বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করেছে রাশিয়া।
এই আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে মস্কো থেকে এসেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দুই পৃষ্ঠার একটি কূটনৈতিক নোট ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাস থেকে পাঠানো হয়েছে। সে নোটে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেন সংঘাতে অস্ত্র পাঠিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে, যা রাশিয়াকে ‘অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া’ দেখাতে বাধ্য করতে পারে।
পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা জেলেনস্কির
সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সম্ভাব্য পরমাণু হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। বিশ্ববাসীকে এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকা উচিত বলেও মনে করেন জেলেনস্কি।
কিয়েভে ৯ শতাধিক মরদেহ
রাশিয়ার সেনারা কিয়েভ ছেড়ে যাওয়ার পর ৯ শতাধিক মরদেহের খোঁজ পাওয়া গেছে; যাদের রুশ বাহিনী হত্যা করেছে বলে দাবি ইউক্রেনের।
কিয়েভের আঞ্চলিক পুলিশপ্রধান আন্দ্রি নেবিতোভ জানান, কোনো কোনো মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায় রাস্তায়। আর বাকিগুলো ছিল মাটিচাপা দেয়া অবস্থায়।
পুলিশের কাছে থাকা তথ্যের সূত্র উল্লেখ করে তিনি জানান, যেসব মরদেহ পাওয়া গেছে, এদের কেউ গুলিতে, কেউ বা অন্যভাবে হামলার শিকার হয়ে মারা গেছেন।
ইউক্রেনে অস্ত্র কারখানায় রুশ হামলা
রাশিয়ার নৌবাহিনীর ফ্ল্যাগশিপ যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ডুবে যাওয়ার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত একটি জাহাজ প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে।
মস্কভা নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, ইউক্রেনের দুটি নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্রই মস্কভাতে আঘাত হেনেছে। ফলে সাগরেই সলীল সমাধি ঘটে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর ফ্লিটের ফ্ল্যাগশিপটির।
ইউক্রেনের শরণার্থী নিয়ে যা বলছে জাতিসংঘ
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটি ছাড়তে শুরু করে বেসামরিক নাগরিকরা। জাতিসংঘ বলছে, এখন পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ত্যাগ করে পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে, যা ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার ৯ ভাগের ১ ভাগ।