রুশ মূল ভূখণ্ডের বেসামরিক স্থাপনায় ইউক্রেনের সেনারা হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। হেলিকপ্টার হামলার দাবির কিছুক্ষণের মধ্যেই এবার রুশ অভ্যন্তরে ইউক্রেনীয় সেনাদের গোলাবর্ষণের দাবি করা হলো রাশিয়ার পক্ষ থেকে। যদিও ইউক্রেন এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা করার বিষয়টিই অস্বীকার করেছে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের তিনটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে। ইউক্রেনের হামলায় ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে।
এলাকাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় এরই মধ্যে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে ও সেখান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বার্তায় গভর্নর গ্ল্যাডকভ বলেন, ‘আমাদের ঝুরাভলেভকা গ্রামে ইউক্রেন থেকে আসা গোলা আঘাত করেছে। বাড়ি ও কমিউনিটি ভবনের ক্ষতি হয়েছে।’
শুরুতে তিনি হতাহতের কোনো তথ্য দিতে না পারলেও পরে জানান, বাসিন্দাদের অনেকেই আহত হয়েছেন।
এর আগে ইউক্রেনের দুটি হেলিকপ্টার রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। সে হামলায় এক শিশুসহ সাতজন আহত হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনকে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক করেছে। পশ্চিমাদের আশঙ্কা, ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রেক্ষাপট তৈরি করছে রাশিয়া।
এদিকে বৃহস্পতিবার আটলান্টায় জর্জিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তৃতার সময় সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রাশিয়ার নেতৃত্বের সম্ভাব্য হতাশার ফলে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিকে আমরা কেউই হাল্কাভাবে নিতে পারি না।
‘আমরা স্পষ্টতই খুবই উদ্বিগ্ন। আমি জানি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোর বিষয় নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যেখানে আপনি জানেন, পারমাণবিক সংঘাত সম্ভব।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।