ইউক্রেনে সামরিক ব্যর্থতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ইউক্রেনে রুশ সামরিক বিপর্যয়ের ফলে কৌশলগত ও কম ধ্বংস ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারেন পুতিন।
বৃহস্পতিবার আটলান্টায় জর্জিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তৃতার সময় বার্নস বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রাশিয়ার নেতৃত্বের সম্ভাব্য হতাশার ফলে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিকে আমরা কেউই হালকাভাবে নিতে পারি না।
‘আমরা স্পষ্টতই খুবই উদ্বিগ্ন। আমি জানি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানোর বিষয় নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যেখানে আপনি জানেন, পারমাণবিক সংঘাত সম্ভব।’
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়া তার পারমাণবিক বাহিনীকে সচল করছে কিংবা গোপন বাঙ্কার থেকে পারমাণবিক বোমা বের করছে, এমন কোনো পরিস্থিতি গোয়েন্দা সংস্থার দৃষ্টিগোচর হয়নি।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
রাশিয়ার দাবি, এরই মধ্যে তাদের সেনারা সামরিক লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে। তবে ইউক্রেন বলছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে রুশ সেনারা।