বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির পথ আটকাল ইইউ

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ১২:৩৩

২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে, তখন দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আইনের একটি ফাঁক ব্যবহার করছিল ইইউ সরকারগুলো।

রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বেচা যায়, এমন একটি আইনের ফাঁক বন্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষের নেয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের কাছে ইইউভুক্ত কোনো দেশ আর অস্ত্র বেচতে পারবে না।

২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে, তখন দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আইনের একটি ফাঁক ব্যবহার করছিল ইইউ সরকারগুলো।

রয়টার্স বলছে, শুধু গত বছরই রাশিয়ায় কোটি কোটি ইউরোর সমপরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছে ইইউয়ের অনেক দেশ। সম্প্রতি আইনের ওই ফাঁকটি ইইউ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইইউ কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ইইউ দেশগুলো রাশিয়ার কাছে ৩৯ মিলিয়ন ইউরোর সমপরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছে গত বছর। ২০২০ সালের তুলনায় যা ৫০ ভাগ বেশি। সে বছর দেশগুলো রাশিয়ায় ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর অস্ত্র বিক্রি করেছিল। আগের বছরের হিসাবটাও এমনই।

রাশিয়ায় যে অস্ত্রের ব্যবসা হয়, তার বেশির ভাগই করে ফ্রান্স ও জার্মানির মতো দেশগুলো।

সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বাহিনী হামলা শুরুর পর অস্ত্র বেচার যে ফাঁক ছিল তা বন্ধে পদক্ষেপ নেয় ইইউ। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সদস্য দেশগুলোর রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির পথ আটকাল।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা দুর্বল করতে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইইউ। এগুলোর মধ্যে দেশটিতে বিভিন্ন প্রযুক্তি রপ্তানি নিষিদ্ধের বিয়ষটিও রয়েছে।

ইইউ কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, অস্ত্র বিক্রি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসলেও গত সপ্তাহে পঞ্চম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের অংশ হিসেবে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়।

ইউক্রেন সীমান্তে টানা কয়েক দিন সেনা মোতায়েন করে রেখে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। রুশ সেনাদের প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনের সেনারাও।

এরই মধ্যে কয়েক দফা ইউক্রেন-রাশিয়ার বৈঠক হয়েছে; তবে কার্যত যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। যুদ্ধে প্রতিদিনই আসছে হতাহতের খবর। মানুষ হচ্ছে বাস্তুচ্যুত।

যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাসহ নানা দেশ একে একে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে রাশিয়ার ওপর। পণ্য আমদানি বন্ধ করেছে কেউ কেউ। তবে এই পদক্ষেপের বিপক্ষেও অবস্থান নিয়েছে অনেক দেশ।

এ বিভাগের আরো খবর