বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যেসব দেশে পালিত হয় ‘নওরোজ’

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:৫৬

প্রতি মার্চের ২০-২২ তারিখে পালিত হওয়া নওরোজ সারা বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষের কাছে এক বিশেষ দিন। পানি, মাটি, বায়ু ও আগুনকে প্রকৃতির প্রধান উপাদান ধরে এখনও পালিত হওয়া নওরোজের প্রধান নীতিগুলো একই। তবে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে এটি এক আলাদা ভাবধারা তৈরি করেছে। বসন্ত ও উর্বরতা এবং দুঃখ ও অন্ধকারকে নতুনভাবে কাটিয়ে ওঠার দিনই হলো নওরোজ।

নওরোজ ফার্সি শব্দ, যার অর্থ বছরের ‘প্রথম দিন’। প্রায় ৩ হাজার বছর আগে জরথ্রুস্ত্রের ধর্ম থেকেই বলা যায় পার্শিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম। তারই প্রথম দিনকে বলা হয় নওরোজ। বাংলা ক্যালেন্ডারে আমরা যাকে বলি নববর্ষ, তা-ই পার্শিয়ান ক্যালেন্ডারে নওরোজ।

সেমেটিক ধর্মগুলো প্রতিষ্ঠার আগেই জরথ্রুস্ত্রীয় মতবাদের জন্ম। সপ্তম শতাব্দীতে পারস্যে মুসলিম বিজয়ের পর ধীরে ধীরে জরথ্রুস্ত্রীয় মতবাদ হারিয়ে যায়। তবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান ধর্ম এখন ইসলাম হলেও তারা নওরোজ উৎসবকে পরিত্যাগ করেনি। অনেক মুসলিম দেশেই দিনটি সরকারি ছুটির দিন।

পানি, মাটি, বায়ু ও আগুনকে প্রকৃতির প্রধান উপাদান ধরে এখনও পালিত হওয়া নওরোজের প্রধান নীতিগুলো একই। তবে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে এটি এক আলাদা ভাবধারা তৈরি করেছে।

প্রতি মার্চের ২০-২২ তারিখে পালিত হওয়া নওরোজ সারা বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষের কাছে এক বিশেষ দিন। বসন্ত ও উর্বরতা এবং দুঃখ ও অন্ধকারকে নতুনভাবে কাটিয়ে ওঠার দিনই হলো ‘নওরোজ’।

ইরানে নওরোজ সরকারি ছুটির দিন। এদিনকে কেন্দ্র করে বেশ আগে থেকেই ইরানিরা প্রস্তুতি শুরু করে। প্রস্তুতি হিসেবে তারা পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দেয় বেশি। এ সময় বাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সবই তারা পরিষ্কার করে। এই আচারকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘খান তেকানি’। বাড়ি পরিচ্ছন্ন হয়ে গেলে তারা রাস্তায় আলোকিত করে, যেটাকে তারা বলে ‘রেড সেলিব্রেশন’। এই আলোকিত করার বিষয়টি আগুনকে সম্মান জানিয়ে। যা জরথুস্থিয়ান বিশুদ্ধতার প্রতীক।

এই দিনকে উদযাপন করতে ইরানের মানুষেরা একের পর এক আতশবাজি ফোটায়, বনফায়ার করে। সামনের বছরের জন্য তাদের আশা ও স্বপ্নে ভরা আকাশে ফানুস ওড়ায়। ইয়াজদ ও ইসফাহানের মতো শহরগুলোতে সাদেহ নামের একটি উৎসবে নওরোজের ৫০ দিন আগে থেকে আগুনকে সম্মান জানানো হয়।

আর যখন এদিন খাবারের প্রসঙ্গ আসে। ইরানে নওরোজের জন্য অনেক খাবারের মেন্যু রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সবজি পোলা মাহি (সবজি দেয়া ভাত ও সাদা মাছের ডিশ)

আর যখন আজারবাইজানে ‘নওরোজ’ উদযাপনের কথা আসে। তখন দেশটির সবখানেই জরথ্রুস্ত্রের ছোঁয়া। বড় ভবনগুলোতেও নওরোজের প্রতীক তুলে ধরা হয়। সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ।

শুধু ইরান ও আজারবাইজানেই নয়, নওরোজ কুর্দিদের জন্যও বিশেষ দিন। ইরান, তুরস্ক ও ইরাকে প্রায় ৩ কোটি কুর্দির বাস। ইরাকের আক্রায় পাহাড়ে আগুনের মশাল জ্বালিয়ে উদযাপন করা হয় নওরোজ। তাদের কাছে দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় আগুনকে সম্মান জানিয়ে তারা মশাল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

রাশিয়া অঞ্চলের তাতার গোষ্ঠীও নওরোজকে পার্শিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন হিসেবে পালন করে। এ ছাড়া তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, পাকিস্তানসহ ১৭টি দেশে পালিত হয় পারস্যের নববর্ষ ‘নওরোজ’।

এ বিভাগের আরো খবর