বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেনীয় সেনাদের গণ-আত্মসমর্পণের দাবি রাশিয়ার

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:০৭

কোনাশেঙ্কোভ বলেছেন, ইউক্রেনের মোট ১ হাজার ২৬ জন নৌসেনা আত্মসমর্পণ করেছেন, যার মধ্যে কর্মকর্তা রয়েছেন ১৬২ জন ও নারী সেনা রয়েছেন ৪৭ জন। এ ছাড়া ১৫১ জন আহত ইউক্রেনীয় সেনাকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানোর আগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর মেডিকেল ইউনিট।  

ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিওপোলে অবস্থান করা দেশটির ৩৬ স্বতন্ত্র মেরিন ব্রিগেডের ১ হাজারের বেশি সেনা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেঙ্কোভ বলেছেন, ইউক্রেনের মোট ১ হাজার ২৬ জন নৌসেনা আত্মসমর্পণ করেছেন, যার মধ্যে কর্মকর্তা রয়েছেন ১৬২ জন ও নারী সেনা রয়েছেন ৪৭ জন।

এ ছাড়া ১৫১ জন আহত ইউক্রেনীয় সেনাকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানোর আগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর মেডিকেল ইউনিট।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের শুরুর দিকেই দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোল অবরোধ করেন রুশ সেনারা। পাল্টা জবাব দিলেও অবরোধ ভাঙতে পারেননি ইউক্রেনের সেনারা। এরই মধ্যে কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে শহর থেকে অনেক বেসামরিক নাগরিক বেরিয়ে গেলেও এখনও অনেকে আটকে আছেন।

এর আগে পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার প্রদেশ চেচনিয়ার প্রধান রমজান কাদিরভ টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মের একটি পোস্টে দাবি করেছিলেন, মারিওপোলে ইউক্রেন নৌবাহিনীর ৩৬ স্বতন্ত্র মেরিন ব্রিগেডের ৫০৩ ব্যাটালিয়নের প্রায় ২৬৭ সেনা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

সে পোস্টে তিনি আরও বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা (আত্মসমর্পণ) সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে এবং রাশিয়ার কাছে তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলো রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বেশ কয়েকবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইউক্রেনীয় সেনা ও বিদেশি ভাড়াটে সৈনিকদের নিরাপদে শহর ত্যাগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যেসব সেনা মারিওপোল শহর ত্যাগ করতে চান, তারা চাইলে অস্ত্র ত্যাগ করে যেতে পারেন। এমনকি অস্ত্র ত্যাগকারী সেনাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দেয়া হয়েছে মস্কোর পক্ষ থেকে।

রাশিয়া এরই মধ্যে মারিওপোলের মেয়র হিসেবে মস্কোপন্থি একজনকে ঠিক করে ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেন সরকারের বিরোধী পক্ষ ও রাশিয়াপন্থি দলের স্থানীয় কাউন্সিলর কোস্তিয়ানতিন ইভাশ্চেঙ্কোকে শহরের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছে মস্কোপন্থি দল।

বর্তমানে ইউক্রেনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ভাদিম বয়চেঙ্কো বলেছেন, মারিওপোলের বর্তমান পরিস্থিতি ‘মানবতার বিপর্যয়েরও বাইরে’।

রাশিয়ার জন্য মারিওপোলের দখল নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ শহর দখল নিতে পারলে রুশ অধ্যুষিত ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়ার সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে, যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট ফোর্স কমান্ডের সাবেক কমান্ডার জেনারেল স্যার রিচার্ড ব্যারনস এমনটাই মনে করেন।

এ ছাড়া মারিওপোল যদি দখল করা সম্ভব হয়, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের উপকূলের ৮০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ফলে সমুদ্রপথে ইউক্রেনের বাণিজ্যপথ বন্ধ হবে, দেশটি বিশ্ব থেকে সমুদ্রপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

আজভ সাগরের তীরবর্তী ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মারিওপোলে অবস্থিত। এই পথ দিয়েই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্টিল, কয়লা ও ভুট্টা রপ্তানি করে।

এ বিভাগের আরো খবর