পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে আজ বুধবার বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছেন ইমরান। ক্ষমতা হারানোর পর এটাই হতে যাচ্ছে ইমরানের প্রথম সমাবেশ। এর আগে ইমরানের সমর্থনে পাকিস্তানের পাশাপাশি লন্ডন, দোহা ও দুবাইয়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে ।
বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে দাবি করে আসা ইমরান মঙ্গলবার এক টুইটে বলেন, ‘এশার পর বুধবার পেশোয়ারে একটি জলসা (সমাবেশ) করব। বিদেশি ষড়যন্ত্রে অপসারণের পর এটা আমার প্রথম জলসা। আশা করি গণতন্ত্রপ্রেমী সবাই আসবেন। কারণ পাকিস্তান স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম হয়েছিল। বিদেশি শক্তির পুতুল রাষ্ট্র হিসেবে নয়।’
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ইমরান আরও বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনই দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।’
পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবে ডেপুটি স্পিকারের ভেটো, প্রেসিডেন্টের অনুমতিতে সরকার ভেঙে দেয়া, সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে ফের পার্লামেন্ট পুনর্বহাল করে অনাস্থা ভোট আয়োজন- কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের রাজনীতি।
শনিবার অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান। ইমরানের দল সোমবার অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগের শাহবাজ শরিফ।
সোমবার পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেন ইমরানের দল পিটিআইয়ের অন্তত ১০০ আইনপ্রণেতা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রতিবাদে নামেন কয়েক লাখ মানুষ।
ইমরানকে হটিয়ে দেয়ার বিষয়টি যে সহজে হজম হবে না তার আঁচ মিলেছে জনগণের প্রতিক্রিয়ায়। অনাস্থা ভোটের প্রতিবাদে রোববার পদত্যাগ করা পালার্মেন্ট স্পিকার আসাদ কাইসারকে খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াবি শহরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
পিটিআইয়ের শেয়ার এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আলো হাতে ইমরানের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন জনগণ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা যায় কায়সারকে।
ইমরানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারেও। দুবাইয়ের কয়েকটি শহরে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ', ‘ইমরান খান জিন্দাবাদ' স্লোগানে প্রিয় নেতার পাশের থাকার অঙ্গীকার করেন।
শাহবাজ শরিফ সোমবার যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছিলেন, তখন লন্ডনের ইলফোর্ডে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের একটি বড় অংশ বিক্ষোভ করছিল। সেখানে শাহবাজ শরিফের ভাই পাকিস্তানের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়ি। একপর্যায়ে ইমরানের সমর্থকরা নওয়াজ শরিফের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।