শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, সরকার ও দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে ক্যাম্প স্থাপন করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোর গল ফেসে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বিপরীতে ক্যাম্প করেন তারা।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকসের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিক্ষোভকারীরা তাঁবুগুলোর সমন্বয়ে গড়া ক্যাম্পের নাম দিয়েছেন ‘গোতা-গো-গামা’।
নিউজ ফার্স্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যাম্পের শুরুটা হয়েছিল শনিবার রাতে হাতে গোনা কয়েকটি তাঁবু দিয়ে। রোববার রাতে সেটি বেড়ে হয় দুই ডজনের বেশি।
গোতা-গো-গামা ক্যাম্পটি ছোট্ট আদর্শ গ্রামের মতো। এতে বিনা মূল্যে খাবার, পানি, টয়লেট এবং অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পের মতো প্রয়োজনীয় সব সুবিধা রয়েছে।
কোটি কোটি রুপি ঋণ, রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, করোনাভাইরাসে পর্যটনের মতো খাত থেকে আয় ব্যাপক হারে কমে যাওয়া এবং সরকারের অব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো শ্রীলঙ্কাকে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে। এ থেকে দেশটিতে বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়।
দেশজুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পার্লামেন্টে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের মন্ত্রিপরিষদের ২৬ মন্ত্রী।
এমন বাস্তবতায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, তবে বিরোধীরা তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
অন্যদিকে জ্বালানি, প্রয়োজনীয় সামগ্রীর স্বল্পতা ও বিদ্যুতের ঘাটতির মধ্যে নিয়মিত রাজপথে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের একটি অংশ গোতা-গো-গামা ক্যাম্প করে, যার লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিকে জোরদার করা।