বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুদ্ধে ৪৫% কমবে ইউক্রেনের জিডিপি: বিশ্বব্যাংক

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:০৮

ইউক্রেনের অর্থনীতিতে কৃষির বড় ধরনের অবদান আছে। বিশ্বের অনেক দেশেই গম রপ্তানি করে ইউক্রেন। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ফলে দেশটির বন্দরগুলোতে জাহাজের আনাগোনা ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। এখন রাশিয়া যদি কৃষ্ণসাগর পুরোপুরি ইউক্রেনের জন্য বন্ধ করে দেয়, তবে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়বে।

রুশ সামরিক অভিযান ও এর ফলে সৃষ্ট মানবিক সংকটের প্রভাবে ইউক্রেনের অর্থনীতির পরিধি এ বছর অর্ধেকে সংকুচিত হওয়ার পথে, এমনটাই বলছে বিশ্বব্যাংক।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণে কৃষ্ণসাগর বন্দর অবরোধ এবং পূর্বে সামরিক অভিযানের ফলে শিল্প-কারখানাগুলোতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জিডিপি এ বছর ৪৫ শতাংশ কমে যেতে পারে।

ইউক্রেনের অর্থনীতিতে কৃষির বড় ধরনের অবদান আছে, কিন্তু দেশটির বন্দরগুলোতে জাহাজের আনাগোনা ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। রাশিয়া যদি কৃষ্ণসাগর ইউক্রেনের জন্য বন্ধ করে দেয়। তবে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়বে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি উন্নয়ন সংস্থা বলছে, শুধু ইউক্রেনই অর্থনৈতিক মন্দায় পড়বে না, এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়াসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকেও অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হবে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর কারণে রাশিয়ার ওপর এরই মধ্যে একের পর এক অবরোধ আরোপ করেই যাচ্ছে পশ্চিমা ও তাদের মিত্রদেশগুলো। এসব অবরোধ যুদ্ধ থেকে রাশিয়াকে পিছু হটাতে না পারলেও দেশটির অর্থনীতিতে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ বছর রুশ অর্থনীতি ১১.৭ শতাংশ সংকুচিত হবে। রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের অর্থনীতিও ৩০.৭ শতাংশ সংকুচিত হবে।

এমনকি আসন্ন সংকটের কারণে সাবেক সোভিয়েতভুক্ত ও পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ বাইরের সাহায্য চাইতে বাধ্য হবে।

রোববার বিশ্বব্যাংক তার পূর্বাভাসে বলেছে, ‘যুদ্ধ মানবজীবনে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে এবং উভয় দেশেই (ইউক্রেন ও রাশিয়া) অর্থনৈতিক ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ছাড়া ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চল এবং বাকি বিশ্বও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হবে।’

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস ও আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এর মধ্যে অনেকেই খাদ্যের খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

গত মাসে আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট সৃষ্টির সম্ভাবনা কম।

তবে ক্রিস্টিলানা একই সঙ্গে সংঘাতের কাছাকাছি অনেক দেশকেই গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, মহামারির পরই এমন পরিস্থিতি একটি বড় ধাক্কা, যা এই অঞ্চলজুড়ে অর্থনৈতিক উৎপাদন ৪.১ শতাংশ কমিয়ে দিবে, যা ২০২০ সালে মহামারি চলাকালীন মন্দার চেয়েও দ্বিগুণ।

ইউক্রেনে যুদ্ধ যদি চলতেই থাকে, তাহলে বিশ্বব্যাংক সম্ভবত তার পূর্বাভাস সংশোধন করে জিডিপিতে আরও বড় পতনের পূর্বাভাস দিতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর