বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইমরানের পতনের নেপথ্যে

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:১৬

নাটকীয়তার ভোটে রাজনৈতিক মৃত্যু হয় ক্রিকেটার থেকে মাঠকাঁপানো রাজনীতিক ইমরানের, যার পেছনে দুটি বাস্তবতা ছিল। পার্লামেন্টের ভেতর জোটসঙ্গীদের সমর্থন হারায় পিটিআই, যার ফলে অনাস্থা ভোটে জিততে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেননি ইমরান। পার্লামেন্টের বাইরে সাবেক এ অলরাউন্ডার দৃশ্যত সেনাবাহিনীর সমর্থন হারান।

দিনভর অনেক নাটকীয়তা শেষে শনিবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে হলো ইমরান খানের ওপর অনাস্থার ভোট। এতে হারলেন ইমরান; হারালেন প্রধানমন্ত্রিত্ব।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক রায়ে অনাস্থা ভোট খারিজ করে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট, যার ফলে পার্লামেন্টের হাতেই নির্ধারণ হয় ভোট এড়াতে চাওয়া ইমরানের ভাগ্য।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের পর ইমরানের হাতে দুটি সুযোগ ছিল। ভোটের মাধ্যমে সরিয়ে দেয়া না হলে তাকে পদত্যাগ করতে হতো। ইমরান শেষ বল পর্যন্ত খেলতে চাওয়ায় আইনপ্রণেতাদের ভোটেই তার বিদায় নিশ্চিত হয়।

নাটকীয়তায় ভরা এ ভোটে আপাতত রাজনৈতিক মৃত্যু হলো ক্রিকেটার থেকে মাঠকাঁপানো রাজনীতিক ইমরানের, যার পেছনে দুটি বাস্তবতা ছিল। পার্লামেন্টের ভেতর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জোটসঙ্গীদের সমর্থন হারায়, যার ফলে অনাস্থা ভোটে জিততে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেননি ইমরান। পার্লামেন্টের বাইরে সাবেক এ অলরাউন্ডার দৃশ্যত সেনাবাহিনীর সমর্থন হারান।

২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জিততে সেনারা ইমরানকে সহায়তা করে বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। সেই সেনাবাহিনীই ইমরান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জ্যেষ্ঠ পদগুলোতে কিছু নিয়োগ এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত ইস্যুতে। যদিও ইমরানের সঙ্গে ‘বিচ্ছেদের’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাহিনীটি।

পাকিস্তানে গত কয়েক সপ্তাহে ইমরানকে গদিচ্যুত করতে প্রধান দুই বিরোধী দল পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। পিটিআই নেতৃত্বাধীন জোটের মিত্ররা ইমরানের প্রতি অসন্তোষের বিষয়ে সোচ্চার হতে থাকেন।

মার্চের শেষের দিকে পিটিআইয়ের জোটসঙ্গী বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) সিনেটর আনোয়ার উল হক কাকর বলেছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত সুশাসনের ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’

ইমরানের জোটত্যাগী দলটির এ নেতা আরও বলেছিলেন, ‘গত দুই বছর ধরে অসন্তোষ চলছিল। কেন্দ্রীয় সরকারে নিজেদের অবস্থান এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসংখ্যা নিয়ে দল (বিএপি) অসন্তুষ্ট ছিল।’

পিটিআইয়ের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আফজাল চাঁনের বক্তব্যে, যিনি মার্চের শুরুতে ছেড়ে আসা পিপিপিতে নতুন করে যোগ দেন।

ইমরানের নেতৃত্বাধীন জোট ছাড়ার কারণ হিসেবে চাঁন বলেছিলেন, ‘(ইমরান) খানের দুর্নীতিবিরোধী প্ল্যাটফর্মে প্রভাবিত হয়েছিলাম। একই সঙ্গে বিদ্যমান পরিস্থিতির ওপর ত্যক্ত ছিলাম, কিন্তু তারপর আমি দেখলাম, খান বাইরে গরিবদের নিয়ে কথা বললেও অন্দরে তিনি সম্পদশালী বিনিয়োগকারী বেষ্টিত।’

অর্থনৈতিক সংকট

পাকিস্তানে ইমরানের প্রতি অসন্তোষ বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয় গভীরতর অর্থনৈতিক সংকটকে। তার শাসনকালের বড় সময় দুই অঙ্কের মুদ্রাস্ফীতি দেখেছে পাকিস্তান।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিরোধীরা এককাট্টা হওয়ার পর বৈশ্বিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার মধ্যেও অভ্যন্তরীণ জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম কমানোর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। একই সঙ্গে জুনে অর্থবছর শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দাম নির্দিষ্ট রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ইমরানের এ সিদ্ধান্ত ধারাবাহিক অর্থ ঘাটতি এবং দেনা-পাওনার ভারসাম্যজনিত সমস্যায় থাকা পাকিস্তানের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। চলতি সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে ঐতিহাসিক অবনমন হয় রুপির। এমন বাস্তবতায় এক জরুরি বৈঠকে সুদের হার ব্যাপকভাবে বাড়ায় স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান।

এ সংকট নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্ল্যাভাৎনিক স্কুল অফ গভর্নমেন্টের অর্থনীতিবিদ শাহরুখ ওয়ানি আল জাজিরাকে বলেন, ‘এটার একাংশ আগের সরকার সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে এবং আরেক অংশ অবশ্যই কোভিডের কারণে, তবে সরকার কৌশলী না হয়ে সমস্যা সমাধানে তড়িঘড়ি শুরু করে এবং সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কখনও।’

ইমরানের শাসনামলে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি পাকিস্তান। ছবি: এএফপি

ইমরানের সাবেক মিত্র চাঁনের মতে, তার আসনে ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ পতনে ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি, সারের ঘাটতি, পাঞ্জাবে স্থানীয় সরকার পরিচালনায় ব্যর্থতা, পুলিশের তৎপরতা—এসবের প্রত্যেকটিই সীমা ছাড়িয়েছে।’

পার্লামেন্টে মিত্রদের সমর্থন হারানোয় ইমরানের পক্ষের আইনপ্রণেতা কমে যায়। ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে বিএপি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) আসনসংখ্যা ৫ শতাংশের কম, তবে অনাস্থা ভোটে জোটের এ সঙ্গীদের ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সাড়ে তিন বছরের অধ্যায় শেষ হয়ে যায়।

শুধু জোটের মিত্র নয়, খোদ পিটিআইয়ের বিদ্রোহী কিছু আইনপ্রণেতার সমর্থন পাওয়ার কথাও জানায় বিরোধী দলগুলো।

এই বিরোধী ও বিদ্রোহীদের মতো অর্থনৈতিক অবস্থাও ছিল ইমরানের বিপক্ষে। এ নিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেন, ‘পাকিস্তানের সামনে সবচেয়ে বড় দুই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ হলো উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা হলো রিজার্ভ কমতে থাকায় মুদ্রার অবনমন হচ্ছে, যেটি মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়াচ্ছে।’

সেনাবাহিনীর ভূমিকা

ইমরানের প্রস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তার সাবেক মিত্ররা বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক কর্মকর্তাদের সম্পর্কের বিষয়টিকে আরও সামনে আনেন। বিরোধীদের অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইমরানের পক্ষ নেবে না বলে জানিয়ে দেয় সেনাবাহিনী, যাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পার্লামেন্ট সদস্যদের সমর্থন কমতে থাকে।

বিএপির সিনেটর কাকর বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান (সেনাবাহিনী) নিরপেক্ষ হওয়ার পর মিত্ররা দেখল যে, সরকার আর টিকবে না। তিনি আর থাকতে পারবেন না, এমনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এটি (পতন) ছিল সময়ের ব্যাপার।’

পাকিস্তানের বিগত অনেক প্রধানমন্ত্রীর একজন ইমরান খান, যিনি গদিচ্যুত হয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ ও বৈদেশিক নীতির প্রশ্নে সেনাদের সঙ্গে বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে।

গত বছরের অক্টোবরে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার বাজওয়ার পছন্দের ব্যক্তির পরিবর্তে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইজ হামিদকে সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন ইমরান। ঘটনাক্রমে বাজওয়ার মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আনজুম আন্তবাহিনী গোয়েন্দা (আইএসআই) প্রধান হিসেবে নিযোগ পান, কিন্তু এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিরোধ অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছিল।

সেনাবাহিনীর প্রধান কামার বাজওয়ার সঙ্গে ইমরান খান। ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল বাজওয়ার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হচ্ছে নভেম্বরে। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সব যোগ্যতা রয়েছে সর্বজ্যেষ্ঠ জেনারেলদের একজন হামিদের। বলে রাখা ভালো, পাকিস্তানে সেনাপ্রধান নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ঢেলে সাজানোর চেষ্টা

দৃশ্যত অস্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেছিলেন ইমরান খান। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ধরে রাখতে চেয়েছে সেনাবাহিনী।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বঘোষিত নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইমরান খান রাশিয়া সফরে যান। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের মধ্যে তিনি রুশদের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করার চেষ্টা করেন, তবে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে একটি করমর্দনের বেশি কিছু পাননি তিনি।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইমরানের মস্কো সফরে সমর্থন দিলেও সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনে মতদ্বৈততা তীব্র হতে থাকে। পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের পর ইমরান অভিযোগ করেন, রাশিয়া সফর এবং নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি বেছে নিতে চাওয়ার শাস্তি হিসেবে তাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

ইসলামাবাদে গত ২৭ মার্চ এক সমাবেশে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ হিসেবে একটি চিঠি দেখান ইমরান খান। তার দাবি, তাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণে কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সমাবেশে কথিত চিঠি হাতে ইমরান খান। ছবি: সামা নিউজ

কূটনৈতিক সেই বার্তা, যুক্তরাষ্ট্রের কথিত হুমকি এবং ইমরানের ওপর অনাস্থা ভোটকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ষড়যন্ত্র আখ্যা দেয়া পাকিস্তানের রাজনীতি এবং বেসামরিক-সামরিক সম্পর্ককে আরও ঘোলা করে।

এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল, সাবেক সামরিক মুখপাত্র এবং ২০১৫ থেকে ২০১৮ মেয়াদে ইউক্রেনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আতহার আব্বাস বলেন, ‘ওই চিঠি তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করে। অনাস্থা ভোটে হস্তক্ষেপ নিয়ে (সেনাবাহিনীতে) মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়।’

জেনারেল আব্বাস ইমরান খানের শাসনামলে তার সঙ্গে সামরিক নেতৃত্বের বেশ কিছু মতপার্থক্যের কথা বলেন। তার মতে, ইমরানের দুর্বল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিতে আঁচড়ের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সেনা অভিযান এবং নাইন-ইলেভেনের পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃশ্যত অন্তহীন যুদ্ধের বিরোধী ছিলেন ইমরান। এ নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতদ্বৈততা তৈরি হয় তার।

এ বিষয়ে জেনারেল আব্বাস বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রীর (ইমরান) অবস্থান ছিল, আমরা আমেরিকার যুদ্ধ বয়ে বেড়াচ্ছি এবং জান-মালের ক্ষতি করছি। সেনাবাহিনীর মত ছিল, এটা (সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান) আফগান যুদ্ধের কুফল এবং আমাদের হাতে অন্য কোনো সুযোগ ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘সেনা নেতৃত্বের ওপর চাপ ছিল যে, যদি এটা আমেরিকার হয়ে যুদ্ধ হয়, তাহলে তরুণ কর্মকর্তা এবং সেনাদের আত্মত্যাগ বৃথা।’

অবসরপ্রাপ্ত আরেক সামরিক কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল শেহজাদ চৌধুরীর মতে, ইমরানের শাসনপদ্ধতির কারণেও সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার উত্তেজনা বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘নীতিগত বিষয়গুলোতে ইমরান স্থির ছিলেন না। কোনো কিছু আগে থেকে ধারণা করা যেত না কিংবা ঠিক করা ছিল না। ইমরান খান জনপ্রিয়তামুখী, যেটা তার জন্য ঝুঁকিরও।’

পরিশেষে বলা যায়, পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে পরাজিত এবং বাইরে সমর্থন হারানো ইমরান খান রাজনীতিতে একেবারে অতীত হয়ে যাননি। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের ফিরে আসা বিরল নয়।

এ নিয়ে ইমরানের সাবেক বিশেষ সহকারী চাঁন বলেন, ‘এক মাস আগে জনগণ (ইমরান ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে) গালাগাল করছিল। আর এখন তারা বলছে, তিনি গৌরবের ও স্বাধীন পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর