মার্চ থেকে ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ তেলআবিবে হামলায় ইসরায়েলি হতাহতের ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট সব নিরাপত্তা বাহিনীকে হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার তেলআবিবের বিনোদন এলাকায় এক ফিলিস্তিনির হামলায় ৩ ইসরায়েলি নিহত এবং ১৬ জন আহত হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেয়া হলো।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন রাতে জনাকীর্ণ বার ও রেস্টুরেন্টগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাকারী ফিলিস্তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে আটকের বিষয়টি জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। তিনি বলেন, প্রয়োজনে হাজারও লোককে আটক করা হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের উত্তর দিকে প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। এ ছাড়াও ১ হাজার ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য তেলআবিবে অভিযান পরিচালনা করছে।
মোট আহত ১৬ জনের মধ্যে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। বাকি আহত ৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
যা বলছে হামলাকারীর পরিবার
তেলআবিবে হামলাকারী হাজেমের পরিবার বলছে, তারা সংবাদমাধ্যম থেকেই হাজেমের হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পেরেছে।
হাজেমের বাবা ফাতি হাজেম আল জাজিরাকে বলেছেন, এই তরুণরা সব আশাই হারিয়ে ফেলছে। কোনো চাকরি নেই, ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়মিত হামলা, অনেক সহকর্মী, বন্ধু ও প্রতিবেশী হারিয়েছে তারা।
আল জাজিরার প্রতিবেদক নিদা ইব্রাহিম বলেন, ‘পরিবারটি বিস্মিত, একই সঙ্গে তারা বুঝতে পেরেছেন রাদ হাজেমের মতো বয়সীরা কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।’
২২ মার্চ থেকে ইসরায়েলে তিনটি ভিন্ন হামলায় ১১ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। হামলাকারী প্রত্যেক ফিলিস্তিনিই হয় ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে নয়তো বেসামরিক ইসরায়েলির গুলিতে নিহত হয়েছে।
এ বছরের শুরু থেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ২৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।